স্লিপড ডিস্ক

ঝুঁকি এড়াতে যা করবেন...

ডা. কাজী শহীদ উল আলম

স্লিপড ডিস্ক বা প্রোল্যাপসড ডিস্কের যন্ত্রণায় ভোগেননি-এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। সমীক্ষা বলছে, ৬০-৮০ শতাংশ মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় স্লিপড ডিস্কের সমস্যায় ভুগে থাকে। ভুল জীবনযাপন পদ্ধতি এক্ষেত্রে অনেকাংশে দায়ী। বার্ধক্যজনিত কারণেও এটি হয়। আবার অতিরিক্ত দৈহিক ওজন, ভারী কোনো জিনিস নিচ থেকে ওপরে তোলা, সঠিক নিয়মে সিঁড়ি ব্যবহার না করার জন্যও স্লিপড ডিস্কের শিকার হতে পারে। এমনকি বসা অবস্থা থেকে হুট করে দাঁড়াতে গিয়েও অনেকের এ সমস্যা হতে পারে। কিছু নির্দেশনা মেনে চললে এ সমস্যা এড়ানো যেতে পারে। যা মাথায় রাখবেন...

নিয়মিত শরীরচর্চা

নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস কাউকে স্লিপড ডিস্কের যন্ত্রণা থেকে বাঁচাতে পারে। তবে ব্যায়াম করতে হবে নিয়ম মেনে। প্রশিক্ষক বা চিকিৎসকের নির্দেশনা বা পরামর্শ ব্যতীত নিজের ইচ্ছামতো ব্যায়াম করা যাবে না।

যথাযথ শারীরিক ভঙ্গি

শোয়া, বসা, দাঁড়ানো বা হাঁটাচলার ক্ষেত্রে সঠিক দৈহিক ভঙ্গি মেনে চলবেন। একভাবে দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকবেন না। ঘুমানোর সময় শোয়ার ভঙ্গি যেন ঠিক থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। সামনে ঝুঁকে কাজ করবেন না। বিশেষত কম্পিউটার ব্যবহারের সময় বেশিক্ষণ সামনে থাকার ফলে স্লিপড ডিস্কে আক্রান্ত হতে পারেন।

জিনিস ওঠানো-নামানোতে সচেতনতা

কোনোভাবেই নিজের ক্ষমতার চেয়ে বেশি ওজনের বস্তু ওঠানো বা নামানো যাবে না। কোনো ভারী জিনিস তোলার সময় এক ঝটকায় তোলা যাবে না। যতটা সম্ভব কোমর বাঁকানো বা নিজে সামনের দিকে বেশি ঝুঁকে কাজ করা এড়িয়ে চলতে হবে।

হাই-হিল জুতা ব্যবহার না করা

হাই-হিল জুতা পরার অভ্যাস পরিহার করতে হবে। হাই-হিলের কারণে দৈহিক ভারসাম্যের পাশাপাশি মাংসপেশির ভারসাম্যও নষ্ট হয়। মেরুদণ্ড ও নিতম্বের মাঝামাঝি জায়গায় চাপ পড়ে। ফলে মেরুদণ্ড, পিঠ ও পায়ে ব্যথা হয়।

মাঝে মাঝে বিরতি

একটানা কাজ না করা। মাঝে মাঝে উঠে দাঁড়িয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করা। কাজের ফাঁকে হাত-পা প্রসারিত করে হালকা ব্যায়াম করলে নিজের মধ্যে ভালো অনুভব বেশি হবে।

নিয়ন্ত্রিত দৈহিক ওজন

নিজের শরীরের ওজন বাড়তে দেয়া যাবে না। অতিরিক্ত ওজন স্লিপড ডিস্কের ঝুঁকি বাড়ায়।

লেখক: পেডিয়াট্রিক অর্থোপেডিক সার্জারি
বিশেষজ্ঞ, ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন