বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী শিক্ষার্থী

মানুষের ভালোবাসা আতিথেয়তা বাংলাদেশে আমার সময়কে স্মরণীয় করে তুলেছে

আবদিরাশিদ খলিফ, সোমালিয়া 

শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তরের জন্য ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নির্বাচন করার জন্য বেশকিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, বাংলাদেশে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের জন্য ইউআইইউর সুখ্যাতি, একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব, আধুনিক অবকাঠামো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষ ফ্যাকাল্টি ছিল মূল বিবেচ্য বিষয়। ইউআইইউ তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞানের ওপর জোর দেয় এবং এর বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি আমার চাওয়ার সঙ্গে ভালোভাবেই মিলে গিয়েছিল। মাল্টিকালচারাল পরিবেশে অধ্যয়ন করা এবং বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং করার সুযোগ আমাকে ইউআইইউ বেছে নিতে আরো আকৃষ্ট করেছিল।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং আমার দেশ সোমালিয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশে পাঠ্যক্রমের মধ্যে তাত্ত্বিক শিক্ষার ওপর জোর দেয়া হয়। শিক্ষার সহজলভ্যতা রয়েছে এ দেশে, লিঙ্গবৈষম্য নেই, শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে শিক্ষকরা নিরলসভাবে পাঠদান করেন। শিক্ষার পরিবেশ, উন্নত অবকাঠামো এবং দক্ষ শিক্ষক বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। বিপরীতে আমার নিজ দেশ সোমালিয়ায় অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। শিক্ষার সুযোগ সীমাবদ্ধ, সম্পদের বৈষম্য শিক্ষার সামগ্রিক শিক্ষার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অবশ্য দুই শিক্ষা ব্যবস্থার পার্থক্যের জন্য ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। বাংলাদেশী শিক্ষা আমার ব্যক্তিগত এবং একাডেমিক উভয় ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। ইউআইইউর পাঠ্যক্রম এবং ইন্টারেক্টিভ শেখার পদ্ধতিগুলো আমার দক্ষতা বাড়িয়েছে। বাংলাদেশে আমার পড়াশোনা গবেষণাভিত্তিক অনুশীলন এবং বাস্তব বিশ্বের ব্যবহারিক দক্ষতার সমন্বয় ঘটিয়েছে। যা সোমালিয়ায় পেশাদার কাজে আমাকে এগিয়ে রাখবে। ঢাকায় থাকা এবং ইউআইইউতে অধ্যয়ন আমাকে একটি প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশ দিয়েছে। মানুষের ভালোবাসা, আতিথেয়তা, একাডেমিক এবং পেশাগত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বাংলাদেশে আমার সময়কে স্মরণীয় করে তুলেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন