পোস্ট কভিড সিনড্রোম

যাদের পোস্ট কভিড সিনড্রোমের ঝুঁকি বেশি

ফিচার ডেস্ক

কভিডে আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিরা হৃৎপিণ্ড, কিডনি, ত্বক ও মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে এমন ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাদের ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে প্রদাহ এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। এ প্রভাবগুলো কতদিন স্থায়ী হতে পারে তা স্পষ্ট নয়। এসব কারণে নতুন কোনো রোগের সৃষ্টিও হতে পারে, যেমন ডায়াবেটিস বা হার্ট বা স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা।

কভিড আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায়ই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা করাতে হয়েছে। এর ফলে অনেকের চরম দুর্বলতা এবং পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার হতে পারে, যা এক ধরনের ভয়াবহ মানসিক সমস্যা। 

পোস্ট কভিড সিনড্রোমের ঝুঁকি কাদের বেশি? 

কোনো ব্যক্তি কভিড আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ ছিল, বিশেষ করে যদি কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় বা নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়েছে।

কভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই তার শারীরিক কোনো জটিলতা ছিল।

কভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লামেটরি সিনড্রোমে আক্রান্ত ছিল এমন ব্যক্তি।

তবে পোস্ট কভিড সিনড্রোম শিশু ও কিশোরদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। যারা কভিডে আক্রান্ত তাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব থাকতে পারে। অনেকের শরীরে এর কোনো লক্ষণও প্রকাশ পায় না। অথবা কভিড আক্রান্তের পরপর হালকা অসুস্থতা রয়েছে।

আপনার যদি পোস্ট কভিড সিনড্রোমের উপসর্গ থাকে তাহলে আপনার কী করা উচিত?

আপনার যদি পোস্ট কভিড সিনড্রোমের লক্ষণ থাকে, তাহলে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সঙ্গে কথা বলা উচিত। এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো নজরে রাখা উচিত: 

যখন কারো শরীরে পোস্ট কভিডের সিনড্রোমগুলো দেখা দেয় 

লক্ষণগুলো আরো খারাপ হয়ে উঠলে 

বারবার শরীরে এ লক্ষণগুলো দেখা দিলে 

এ লক্ষণগুলোর কারণে ব্যক্তির স্বাভাবিক কোনো কার্যকলাপ প্রভাবিত হলে 

লক্ষণগুলো দেখা দিলে যেকোনো ব্যক্তি নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ল্যাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারে। সাধারণত রোগীর লক্ষণগুলোর ওপর ভিত্তি করে ডাক্তার বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা দিতে পারেন, যেমন বুকের এক্স-রে। এছাড়া ব্যক্তির লক্ষণ ও পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী ডাক্তার রোগীর চিকিৎসা প্রদান করবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন