ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার

যে কারণে শিক্ষার্থীরা বেছে নিলেন ব্যতিক্রমী এক বিভাগ

আমার স্বপ্ন ছিল শুধু আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশোনা করা। কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচারে সম্ভাবনা বেশি। কারণ প্রতি পাঁচ থেকে দশ বছর পর ইন্টেরিয়র ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়। তাই অন্য যেকোনো পেশার থেকে এটি আমার কাছে বেশি ভাইভ্রেন্ট মনে হয়েছে। আর আর্থিকভাবে যদি সেইফ জোনের কথা বলেন তাহলেও বলব এ পেশা সেরা। সম্প্রতি ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার একটি ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। সবাই এটার প্রতি বিমোহিত। বাংলাদেশে একজন ভালো ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচারারের বেশ চাহিদা আছে। এ সেক্টরে চাকরির শুরুটাই হয় একটি হ্যান্ডসাম সেলারি দিয়ে। এখানে অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রের তুলনায় প্রতিযোগিতাও কম, যেহেতু মাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ। 

নাজির ইবনে সাজিদ রাফি

শিক্ষার্থী, ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার বিভাগ


অনেক স্থপতি আছেন, যারা আর্কিটেকচার বিভাগে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু আমি যদি শুধু ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার নিয়েই পড়াশোনা করি, তাহলে একটি বিশেষায়িত বিষয় শেখার সুযোগ হচ্ছে। সেক্টর সম্পর্কে আরো গভীরভাবে জানতে পারছি। যেটি চাকরির বাজারে আমাকে এগিয়ে রাখবে। বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে, তাতে এটি অনেক বেশি সম্ভাবনাময়। ফার্নিচার, পেভিলিয়ন অনেক ক্ষেত্রেই কাজের সম্ভাবনা বাড়ছে। রেস্টুরেন্ট, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, রিটেইল শপের ডিজাইন এগুলোর ভালো চাহিদা দেখতে পাচ্ছি। যারা শৌখিন কাজ ভালোবাসেন তাদের জন্য এ সাবজেক্ট পছন্দের তালিকার শীর্ষেই থাকবে।

সানজিদা সেঁজুতি

শিক্ষার্থী, ইন্টেরিয়ার আর্কিটেকচার বিভাগ


সবসময় ব্যতিক্রমী কাজ করতে পছন্দ করি। ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার আমার কাছে সৃজনশীল একটি পেশা হিসেবে ধরা দেয়। এ কারণেই এ বিভাগটি বেছে নিই। আমার ক্রিয়েটিভ চিন্তাগুলো এখানে বাস্তবে রূপ দিতে চাই। অনেক শিক্ষার্থী নতুন সাবজেক্ট হিসেবে পড়তে আগ্রহী হয় না, কিন্তু আমি মনে করি বর্তমানে আর্কিটেকচারের চেয়ে বাজারে চাহিদা সবচেয়ে বেশি ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচারের। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচারের চাহিদা বেড়েছে।

বন্যা বিশ্বাস

শিক্ষার্থী, ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার বিভাগ

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন