অর্থমন্ত্রীর বাজেট অতিরঞ্জন ভেঙে পড়েছে

২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে বাজেট বাস্তবায়ন মাত্র ৬৪ শতাংশ

মেহেদী হাসান রাহাত

২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। ২০২০ সালে তাকে ‘‌ফাইন্যান্স মিনিস্টার অব দি ইয়ার ফর এশিয়া প্যাসিফিক অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড ২০২০’-এর জন্য নির্বাচিত করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ম্যাগাজিন ‘দ্য ব্যাংকার’। তবে বিভিন্ন সময় অর্থনীতি নিয়ে তার বিভিন্ন মন্তব্য ও অতিরঞ্জন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি তিনি মন্তব্য করেন, ‘যারা বলছেন, দেশের অর্থনীতি ভালো নেই, তারা অর্থনীতিই বোঝেন না।’ যদিও দেশের অর্থনীতির বেশির ভাগ সূচকই এখন নিম্নমুখী। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) সংশোধিত বাজেটের মাত্র ৬৪ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে বলে অর্থ বিভাগের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। এ অনুযায়ী সংশোধিত বাজেট বাস্তবায়ন করতে হলে অর্থবছরের সর্বশেষ এক মাসে (জুন) বাজেটের ৩৬ শতাংশ বা ২ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয় করতে হতো সরকারকে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, জুনে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, এ পরিসংখ্যান পেতে এবার অনেক বিলম্ব হবে। ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের পুরো বাজেট বাস্তবায়নের চিত্র পেতে আরো কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি বছরই ঘটা করে বড় আকারের বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু এ বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা এখন ক্রমেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশে ঘোষিত বা সংশোধিত বাজেটের তুলনায় সরকারের প্রকৃত ব্যয়ের মধ্যে বরাবরই ফারাক থেকে যাচ্ছে। এতে বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের দুর্বলতার দিকটিই উঠে আসছে। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে যখন বাজেট প্রস্তাব করা হয়, তখনই প্রশ্ন উঠেছিল; এ বাজেট বাস্তবায়নে অর্থ জোগাড় করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। অর্থমন্ত্রী সে সময় অর্থনীতিবিদদের এ আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। 

অর্থমন্ত্রী গত অর্থবছরে পরিচালন খাতে ৪ লাখ ১১ হাজার ৪০৭ কোটি ও উন্নয়ন খাতে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ দুই খাতে তার ঘোষিত বাজেটের মোট পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৩ কোটি টাকা। তবে পরে এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৮৯০ কোটি টাকায় নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে পরিচালন খাতে ৪ লাখ ১৪ হাজার ২৮৩ কোটি ও উন্নয়ন খাতে ২ লাখ ৪১ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা ব্যয়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। 

কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মে পর্যন্ত ১১ মাসে পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে মোট ৪ লাখ ১৯ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সরকার। এক্ষেত্রে পরিচালন খাতে ৩ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ কোটি ও উন্নয়ন খাতে ১ লাখ ১০ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সংশোধিত বাজেটের বরাদ্দের তুলনায় এ সময়ে মোট ব্যয় হয়েছে ৬৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর মধ্যে বেশির ভাগই আবার পরিচালন খাতে। এ সময় খাতটিতে ব্যয় হয়েছে বরাদ্দের ৭৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। উন্নয়ন খাতে ব্যয় হয়েছে বরাদ্দের ৪৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ অর্থ। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে ব্যয় করতে হলে সরকারকে গত জুনে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা ব্যয় করতে হতো, যা মোট বরাদ্দের ৩৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে মোট ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। এর মধ্যে পরিচালন খাতে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯ কোটি টাকা ব্যয় করার কথা ছিল। পরবর্তী সময়ে সংশোধিত বাজেটে মোট ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে পরিচালন খাতে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬২২ কোটি ও উন্নয়ন খাতে ২ লাখ ২১ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আলোচ্য অর্থ বছরে প্রকৃত ব্যয় হয়েছে ৫ লাখ ২১ হাজার ৩১ কোটি টাকা, যা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার ৮৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালন খাতে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৪৭ কোটি ও উন্নয়ন খাতে ১ লাখ ৯৫ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের বাজেট বাস্তবায়নের হার বরাবরই ৯০ শতাংশের মতো থাকে। জুনে সাধারণত অর্থ পরিশোধের হার বেশি হয়ে থাকে। ফলে গত অর্থবছরের জুনে কী পরিমাণ ব্যয় হয়েছে, সেটি জানা গেলে প্রকৃত বাস্তবায়ন কত হয়েছে সেটি জানা যাবে।’

সরকারের পরিচালন খাতে ব্যয়ের একটি বড় অংশই যায় ঋণের সুদ পরিশোধ ও সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে। এর মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সুদ পরিশোধ বাবদ প্রথমে ৬৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও পরে সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৭১ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা করা হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত এ খাতে প্রকৃত ব্যয় হয়েছে আরো বেশি; ৭৭ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা, যা ছিল পরিচালন খাতে ওই অর্থবছরের মোট ব্যয়ের ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে সুদ পরিশোধ খাতে ৮৫ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয় ৯০ হাজার ১৩ কোটি টাকা। যেখানে ঘোষিত বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ৮০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসেই সুদ পরিশোধে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার ৯৪ দশমিক ৭ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়ে গেছে। 

অন্যদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে বেতন-ভাতা খাতে ৯৭ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও সংশোধিত বাজেটে এটি কমিয়ে ৯৬ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। যদিও এ খাতে অর্থবছর শেষে প্রকৃত ব্যয় হয়েছে ৬৩ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা। এরপর গত অর্থবছরের (২০২২-২৩) ১১ মাসে বেতন-ভাতা খাতে ব্যয় হয়েছে ৬৩ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। যেখানে ঘোষিত বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। যদিও এ ১১ মাসে বেতন-ভাতা খাতে সংশোধিত বরাদ্দের ৫৯ দশমিক ৬ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান এবং উন্নয়ন অন্বেষণের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌বাংলাদেশে বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কাঠামোগত সীমাবদ্ধতার একটি বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে। প্রতি বছরই পরিচালন ব্যয় বাড়ে এবং সুদ বাবদ ব্যয় বেশি হয়। কিন্তু সরকারের আয় সে অনুযায়ী বাড়েনি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুসারে কর-জিডিপি বাড়ানোর কোনো লক্ষণ এবং কার্যকরী ভূমিকাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে পরিবর্তনেরও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যয় আরো বেড়ে যাচ্ছে। এগুলো মোকাবেলার জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ তথা কর আহরণ বাড়ানোর মতো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। ঝুঁকিকে আরো বাড়িয়ে তুলছে অর্থনীতির শ্লথগতি।’

বাজেট বাস্তবায়নের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

তবে নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকার বিদেশী ও স্থানীয় উৎস থেকে যে পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছিল, তার কোনোটিরই লক্ষ্য অর্জন হয়নি। বরং সরকারের অনেক ব্যয় নির্বাহ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ নিতে হয়েছে। ফলে বাজেট বাস্তবায়ন অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে।’ 

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫ কোটি টাকা। পরবর্তী সংশোধিত বাজেটে এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকায় নির্ধারণ হয়। যদিও আলোচ্য অর্থবছরের ১১ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে আলোচ্য অর্থবছরে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এক্ষেত্রে অর্থবছরের ১১ মাসে সংস্থাটি রাজস্ব আদায় করেছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। যদিও অর্থবছর শেষে সংস্থাটির আহরিত রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকার রাজস্ব আহরিত হয়েছে, যা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার ৭৩ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে কর-জিডিপি অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৪১ শতাংশে, যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ।

২০২২-২৩ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে অনুদানসহ মোট ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কিছুটা কমিয়ে ২ লাখ ২৪ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা করা হয়। অবশ্য আলোচ্য অর্থবছরের ১১ মাসে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৫২০ কোটিতে। ঘাটতি পূরণে দেশী ও বিদেশী উৎস থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল বাজেটে। এর মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে বিদেশী উৎস থেকে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকার বিদেশী ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সংশোধিত বাজেটে এটি কমিয়ে ৮৩ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা করা হয়। আলোচ্য অর্থবছরের ১১ মাসে বিদেশী ঋণ এসেছে ২৬ হাজার ২৯৮ কোটি টাকার। গত অর্থবছরের বাজেটে দেশীয় উৎস থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকার ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। সংশোধিত বাজেটে যা কিছুটা কমিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা করা হয়। অবশ্য আলোচ্য অর্থবছরের ১১ মাস শেষে দেশীয় উৎস থেকে ৭৮ হাজার ৯০২ কোটি টাকার ঋণ নেয়া হয়েছে।

সচিবালয়ে গত ৩১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সৌজন্য সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশ রোলমডেল, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তার পরও যারা বলছেন দেশের অর্থনীতি ভালো নেই তারা অর্থনীতিই বোঝেন না।’

এ সময় পাল্টা প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি আর কত ভালো হবে? করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি অনিশ্চয়তার মধ্যে নিমজ্জিত। কিন্তু এমন পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো চলছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন