জোর কদমে ফাইভজি ফোনে ফিরছে হুয়াওয়ে

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি: নিক্কেই এশিয়া

বছরের শেষ নাগাদ ফাইভজি স্মার্টফোন প্রযুক্তিতে ফিরে আসার পরিকল্পনা করছে চীনের হুয়াওয়ে টেকনোলজিস। তিনটি গবেষণা সংস্থার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, সরঞ্জাম বিক্রয়ের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ক্ষতি কাটিয়ে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে নতুন এ উদ্যোগ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আভ্যন্তরীণভাবে ফাইভজি চিপ সংগ্রহ করবে হুয়াওয়ে। এ ক্ষেত্রে সহায় হয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি (এসএমআইসি)।

ফাইভজি ফোনের বাজারে ফিরে আসা কোম্পানিটির জন্য বড় বিজয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর প্রায় তিন বছর ধরে কোনোভাবে টিকে আছে হুয়াওয়ে। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটির আয় ছিল ছয় হাজার ৭০০ কোটি ডলার। শীর্ষ এই অবস্থান থেকে পরের বছর আয় প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়।

অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের সঙ্গে একসময় বিশ্বের বৃহত্তম হ্যান্ডসেট নির্মাতা হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিল শেনজেন-ভিত্তিক টেক জায়ান্টটি। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে দৃশ্যপট পাল্টে যায়। মার্কিন বিধিনিষেধের কারণে নতুন সংস্করণের জন্য প্রয়োজনীয় চিপমেকিং সরঞ্জামে তাদের প্রবেশ হ্রাস পায়।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো হুয়াওয়েকে নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে চীনা কোম্পানিটি। এরপর থেকে মজুদকৃত চিপ ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে ফাইভজি সেট তৈরি করে হুয়াওয়ে।

নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের আগে ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী ২৪ কোটি ৬ লাখ স্মার্টফোন সরবরাহ করেছিল। বছর হিসেবে এটি ছিল সর্বোচ্চ।

রাষ্ট্র-সমর্থিত চায়না সিকিউরিটিজ জার্নাল চলতি মাসে জানিয়েছে, হুয়াওয়ের সরবরাহ লক্ষ্যমাত্রা চলতি বছরে ৪ কোটি ইউনিটে উন্নীত হচ্ছে। বছরের শুরুতে ৩ কোটি বলা হয়েছিল। যদিও এতে ফাইভজি সংক্রান্ত কোনো তথ্য ছিল না।

হুয়াওয়ে এই বছর আইফোনের প্রতিদ্বন্দ্বী পি৬০ এর মতো ফ্ল্যাগশিপ মডেলের ফাইভজি সংস্করণ তৈরি করতে পারে। যা বাজারে আসবে আগামী বছর। হুয়াওয়ের সরবরাহ চেইন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ ভবিষ্যদ্বাণী করছে গবেষণা সংস্থাগুলো।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন