অ্যাভাটারের জন্য দুই লাখ ঘনফুটের পুকুর বানিয়েছিলেন ক্যামেরন

ফিচার ডেস্ক

জেমস ক্যামেরনের হাতে হলিউডের ভাগ্য বদলেছিল। একবার নয়, একাধিকবার। টাইটানিকের সাফল্যের কথা সবার জানা। প্রযুক্তির যখন উন্নতি হচ্ছিল, তখন ক্যামেরন আনলেন অ্যাভাটার। অ্যাভাটারের ১৩ বছর পর ‘‌অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। পৃথিবী জানল সিনেমায় প্রযুক্তির এক নতুন সংজ্ঞা। সিনেমাকে নতুন করে পরিচয় করানোর সঙ্গে তিনি বক্স অফিসকেও দিয়েছেন মুনাফা। সিনেমাটিতে ছিল বেশকিছু ‘‌আন্ডার ওয়াটার শট’। দুরূহ এ কাজ ক্যামেরনের পক্ষেই সম্ভব। কেমন করে তিনি তা করেছেন, সে বিষয়ে কথা বলেছেন এবার। ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি গতকাল থেকে স্ট্রিম হচ্ছে ডিজনি প্লাস হটস্টার। সে উপলক্ষেই সিনেমার নেপথ্যের কিছু বিষয় নিয়ে আলাপ করেছেন ক্যামেরন। সেখানেই জানা যায়, শুটিংয়ের জন্য দুই লাখ ঘনফুটের একটি পুকুর তৈরি করিয়েছিলেন।

পানির নিচে শুট করার ক্ষেত্রে পুরো টিমই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে গেছে। এর জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করেছেন ক্যামেরন। তিনি বলেন, ‘‌মূল লক্ষ্য ছিল পানির কিছুটা নিচে ও পানির উপরিতলে শুটিং করা, যেন চরিত্রগুলো ঠিকঠাকমতো নড়াচড়া করতে পারে, সাঁতার কাটতে পারে। এতে ডুব দেয়া, পানি থেকে উঠে আসাও সহজ হয়। এটা দেখতেও মৌলিক মনে হয়। অভিব্যক্তি ও আবেগটাও ফুটিয়ে তোলা সহজ হয়।’

সিনেমা নিয়ে যারা খোঁজখবর করেন তাদের জানা আছে, জেমস ক্যামেরন তার টাইটানিকের জন্য আলাদা করে একটি বিশাল ‘‌পুকুর’ বানিয়েছিলেন। অ্যাভাটারের জন্যও একই কাজ করেছেন তিনি। একটি বিশাল ট্যাঙ্ক তৈরি করেছিলেন ম্যানহাটানের বিচ স্টুডিওতে। ট্যাঙ্কটি ছিল দৈর্ঘ্যে ১২০ ফুট, প্রস্থে ৬০ ফুট ও গভীরতা ৩০ ফুট। এতে আড়াই লাখ গ্যালন পানি থাকে। এর মাধ্যমেই তিনি সাগরের প্রতিরূপ তৈরি ও উপস্থাপন করেছিলেন।

ক্যামেরন বলেন, ‘‌পুরো বিষয়টি আমাদের জন্য সুইস আর্মি সিস্টেমের মতো কাজ করেছে। আমরা ঢেউ তৈরি করেছি। কেউ যখন পানি থেকে উঠছে বা নামছে, সেখানে ঢেউগুলো তীরে এসে পড়ছে বা তীরের মানুষের গায়ে এসে পড়ছে। একত্রে ঢেউ এসে পড়ছে আর সেজন্য শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে শুরু করে সবই বাস্তব হিসেবে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।’ 

ক্যামেরনের সিনেমাটি গত বছর ডিসেম্বরে মুক্তি পায়। এখন পর্যন্ত এটি আয় করেছে ২৩০ কোটি ডলারেও বেশি। 

সূত্র ও ছবি: ডেডলাইন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন