জুলাই-ডিসেম্বর

ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আদা আমদানি কমেছে ৭০%

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

এলসি জটিলতা ও ডলার সংকটের কারণে আদা আমদানি কমেছে ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আদা আমদানি কমেছে অন্তত ৭০ শতাংশ। ব্যবসায়ী আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, ভারতে সরবরাহ কম থাকা, এলসি জটিলতা ডলার সংকটই মূলত মসলাজাত পণ্যটির আমদানি কমার মূল কারণ।

আমদানি কমে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন বাজারে আদার দামে ঊর্ধ্বমুখিতা দেখা দিয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

ভোমরা শুল্কস্টেশনের রাজস্ব বিভাগের তথ্যে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্দর দিয়ে আমদানি করা আদার পরিমাণ ছিল ৪৩ হাজার ৩৭৫ টন, যার আমদানি মূল্য ছিল ৩৬৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছিল ১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে বন্দর দিয়ে আদা আমদানি হয়েছে ১৩ হাজার ৪৫৪ টন, যার আমদানি মূল্য ১৩৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আমদানীকৃত এই পণ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে কোটি ৯১ লাখ টাকা। হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে আদা আমদানি কমেছে ২৯ হাজার ৯২১ টন। পণ্যটি থেকে সরকারের রাজস্ব কমেছে ১১ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

ভোমরা স্থলবন্দরের মসলাজাত পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবু হাসান জানান, নানা সংকটে সব ধরনের মসলা আমদানি কমে গেছে। বিশেষ করে এলসি সমস্যা ডলার সংকটে চলতি অর্থবছরের শুরুতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সম্প্রতি ভারতে আদা সরবরাহ কম থাকার কারণেও আদা আমদানি কমেছে। গত অর্থবছরের এই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরে ৬৫-৭০ শতাংশ কম আমদানি হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা শহরের মসলাজাত পণ্য বিক্রির সবচেয়ে বড় মোকাম সুলতানপুর বাজারে আদা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে। একইভাবে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি দরে, যা এক মাস আগে ছিল ৭০-৮০ টাকা।

ভোমরা শুল্কস্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের ডেপুটি সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, আদা আমদানি কমায় সরকারের রাজস্ব আয়ও কমেছে। তবে বন্দরে পণ্য আমদানি কম-বেশি হয় মূলত ব্যবসায়ীদের চাহিদার ওপর নির্ভর করে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন