![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_328274_1.jpg?t=1722037116)
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই বাংলা হলে একদল
হেলমেটধারী দুই শিক্ষার্থীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে। আজ মঙ্গলবার (২৪
জানুয়ারি) ৪০১৮ নম্বর কক্ষে হামলায় আহতদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।
আহত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ
সিফাত ও লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী জিএম ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী।
তবে ববিতে সরকার দলীয় অঙ্গ সংগঠনটির কোনো কমিটি নেই।
আহত সিফাত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোর
সাড়ে ৫টার দিকে একদল হেলমেট পরিহিত ব্যক্তি শের-ই বাংলা হলের ৪০১৮ নম্বর রুমে নক করে।
সিফাত দরজা খুলতেই তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। কুপিয়ে জখমের পাশাপাশি সিফাতকে
রুম থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয় ও ফাহাদের হাত ভেঙে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, আহত সিফাতের শরীর জখমে ফুলে গেছে।
ফাহাদের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখমের চিহ্ন রয়েছে, তার হাতও ভেঙে দেয়া হয়েছে।
তাদের চিকিৎসা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আবাসিক ছাত্র জিয়া বলেন, ফজরের
আজানের পর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ করে ১০-১৫ জন হেলমেট পরা অবস্থায় হলে প্রবেশ করে।
এরপর তারা সব রুম বাইরে থেকে আটকে দিয়ে ওই দুজনের ওপর হামলা চালায়।
আহত ফাহাদ বলেন, হামলাকারীরা হেলমেটধারী ছিল।
তবুও তাদের শনাক্ত করতে পেরেছি। আলীম সালেহী, অমিত হাসান রক্তিম, রিয়াজ মোল্লা, সৈয়দ
জিসান আহম্মেদ ও বাকিকে চিনেছি। এরা আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।
হামলার অভিযোগের ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ মোল্লা
বলেন, সিফাতের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ। তারা সিফাতের অপকর্মের বিরুদ্ধে
রুখে দাঁড়িয়ে তাকে প্রতিহত করেছে বলে আমার ধারণা।
তিনি বলেন, সিফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের
এলাকায় জমি দখল থেকে শুরু নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। বহু মানুষ তার ওপর ক্ষিপ্ত।
এখন মূলত কারা তার ওপর হামলা করেছে সেটা বলতে পারব না।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের
উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, আহতদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সুস্থ হলে আরও ভালোভাবে
মূল ঘটনা জানতে পারব। হামলাকারী কারা সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেননি আহতরা।
এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শের-ই-বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর বলেন,
গণিত বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র সিফাত ও লোকপ্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ফাহাদের
ওপর অতর্কিত হামলা হয়েছে। তারা গুরুত্বর আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের চিহ্নিত করা যায়নি।
পুরো বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখছে।