সারা বিশ্বে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা অনেক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গা আরো বিস্তৃত হচ্ছে বলেই উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়। করোনাভাইরাস মহামারীর পরে এএমসির প্রতি জনসাধারণের আস্থা বেড়েছে। ভয়াবহ কোনো শারীরিক পরিস্থিতিতেও ডাক্তাররা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাকে পরিপূরক হিসেবে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের দাবি, এতে করে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হচ্ছে সহজে।
গ্র্যান্ড ভিউ রিসার্চের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী পরিপূরক বা বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। এর ওষুধের বাজারটাও অনেক বড়। ২০২০ সালে এ পদ্ধতির ওষুধের মোট বাজার ছিল ৮ হাজার ২২৭ কোটি ডলারের। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২১ সাল থেকে ২০২৮ সালে এর বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ২২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।
২০১৬ সালে কানাডায় পরিচালিত এক গবেষণা বলছে, দেশটির ৭৯ শতাংশ মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময়ে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি এএমসির ব্যবহারের হার সেখানেই। ২০১৫ সালের পরিচালিত ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের এক গবেষণা বলছে, যুক্তরাজ্যে ১৬ শতাংশ মানুষ কার্যকরভাবে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করে। সুইজারল্যান্ডে এর ব্যবহার বাড়ছে ২০০৭ সাল থেকে। সেখানে ২০১২ সালে পরিচালিত সরকারি জরিপে উঠে এসেছে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ২৫ শতাংশ মানুষ এই চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করে। যুক্তরাষ্ট্রে সংখ্যাটা এক-তৃতীয়াংশ।
এ থেকেই বোঝা যায় সারা বিশ্বে এর ব্যবহার ও চাহিদা কত বেশি। বাংলাদেশেও এ পদ্ধতির চিকিৎসা ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে। মেডিসিন ইউনানি ও আয়ুর্বেদীয় সিস্টেম বাংলাদেশ বোর্ডের দাবি, সরকারি হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে ২৫ শতাংশ রোগী বিকল্প পদ্ধতির চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছে। ২০১৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ‘ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন স্ট্র্যাটেজি ২০১৪-২০২৩’ ঘোষণা করেছে। বর্তমানে সদস্য দেশগুলোতে এ কৌশল প্রণয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি।