‘কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে মাঠের কোনো সম্পর্ক
নেই’ উল্লেখ করে হাতে-কলমে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর)
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে
উপস্থিত ছিলেন তিনি।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই)
ও জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশনের যৌথ আয়োজনে এ সেমিনারের আয়োজন করা
হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদেরকে হাতে-কলমে
মাঠপর্যায়ে গিয়ে শেখাতে হবে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা আধুনিক ডেইরি ফার্ম নেই, পোল্ট্রি
ফার্ম নেই। তারা শিখবে কোথা থাকে। অথচ অনেক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে আধুনিক ফার্ম আছে।
আমরা শিক্ষার্থীদের কীভাবে শিখাচ্ছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সব সরকারি সংস্থাকে এগিয়ে আসতে
হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের দেশের মূল সম্পদ
হলো আমাদের মাটি ও পানি। ছোট দেশে বেশি জনসংখ্যার খাদ্য এই মাটি থেকে উৎপাদন হয়। ভূমির
সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। বিজ্ঞানীরা জাত উদ্ভাবন করলে ভূমি ব্যাবস্থাপনাই সবচেয়ে
বেশি ভূমিকা পালন করে।’
তিনি বলেন, ‘অনেকেই চায় অর্গানিক এগ্রিকালচার
করতে। কিন্তু এটা দিয়ে কি এত মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব কি না? আমাদের
প্রয়োজন এক বিঘায় ৩০ মণ ধান উৎপাদন করা। কিন্তু শুধু জৈব সার দিয়ে তো এত উৎপাদন হবে
না। মাটিতে পটাশিয়াম, নাইট্রোজেন, ফসফরাস এগুলো কত শতাংশ আছে এটা জানতে বিজ্ঞানীদেরও
দুর্বলতা আছে। বিজ্ঞানীদের আরো গবেষণা করতে হবে।’
উল্লেখ্য, ‘মাটি: খাদ্যের সূচনা যেখানে’ এ
প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী মৃত্তিকা দিবস পালন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে এসআরডিআই
থেকে প্রকাশিত 'ল্যান্ড ডিগ্রেডেশন ইন বাংলাদেশ ২০২০' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও বিশ্ব
মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার প্রদান করা হয়। শিক্ষাবিদ হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম ইমামুল হক, মৃত্তিকা বিজ্ঞানী হিসেবে বিনার সাবেক মহাপরিচালক
ড. এম এ সাত্তার এবং কৃষক গোলাম রব্বানী মালিককে সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।