সানেমের অনুষ্ঠানে বক্তারা

বিশ্বের ১০টি বিপজ্জনক মহামারীর একটি কভিড-১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা মহামারী বিশ্বে সবচেয়ে বিপজ্জনক ১০টি মহামারীর একটি। এটি গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে চরমভাবে বিপদগ্রস্ত করেছে। বহু মানুষকে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করতে হচ্ছে। অনেক উদীয়মান অর্থনীতির দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি যীশু খ্রিস্টের জন্মের ১৬৫ বছর পর হওয়া মহামারীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

গতকাল রাজধানীর গুলশানে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সানেমের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক . সেলিম রায়হান  সানেমের গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক . সায়মা হক বিদিশা উপস্থিত ছিলেন। এতে মূল আলোচক ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক লায়নাতুল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, মানবসভ্যতায় ভয়াবহ ১০টি মহামারীর মধ্যে কভিড-১৯ একটি। যেটি যীশু খ্রিস্টের জন্মের ১৬৫ বছর পর শুরু হয়। বর্তমান পরিস্থিতি সে সময়কার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। জন হপকিন্সের তথ্যমতে, আগস্ট পর্যন্ত কভিড-১৯- ৬৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অবস্থা ধসে পড়ে। এর কারণে প্রণোদনা প্রদান, আর্থিক নীতি সহজ করা, শ্রমবাজার এবং সামাজিক সুরক্ষা নীতি গ্রহণ করতে হয় সরকারগুলোকে।

তারা বলেন, মহামারীর পর পরই শুরু হয় রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনের ৩০ শতাংশ মানুষ এরই মধ্যে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। হার বছরের শেষ নাগাদ ৬৪ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারেবলছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) দেশটির ২৫ শতাংশ নাগরিক পাশের দেশগুলোয় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে এবং প্রচুর মানুষ অভ্যন্তরীণ শরণার্থী হিসেবে বাস করছে। যুদ্ধে ধ্বংস হওয়া অবকাঠামো পুনরায় তৈরি করতে অন্তত ৭৫০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন পড়বে।

তাদের মতে, যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বৃদ্ধির নতুন ঝুঁকি তৈরি করেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর দেয়া সাতটি নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। এর মধ্যে ইউরোপ মধ্য এশিয়া সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ সামগ্রিকভাবে অঞ্চলের অর্থনীতি দশমিক শতাংশ সংকুচিত হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন