১০ জুনের মধ্যেই অবণ্টিত লভ্যাংশ জমা দিতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে (সিএমএসএফ) মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই অবণ্টিত নগদ স্টক লভ্যাংশ জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বছরের ৩০ মে তহবিলে লভ্যাংশ জমা দেয়ার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু প্রত্যাশা অনুসারে লভ্যাংশ জমা না হওয়ায় সময়সীমা ১০ দিন বাড়িয়েছে কমিশন।

বিষয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে সব তালিকাভুক্ত কোম্পানির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সিএমএসএফের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) প্রেসিডেন্ট সভাপতি, সিএমএসএফের চিফ অব অপারেশন, ঢাকা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে।

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে বিষয়ে কমিশন কর্তৃক একাধিক চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিএসইসির ওই নির্দেশনা অনুযায়ী সিএমএসএফ ফান্ডে নগদ স্টক লভ্যাংশ বা যেকোনো তহবিল বা অবণ্টিত শেয়ার বা অমীমাংসিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত দাবিহীন বা ফেরত না হওয়া পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের অর্থ গত ৩০ মের মধ্যে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু কোম্পানি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে উল্লিখিত বিধি এবং কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী অবণ্টিত নগদ স্টক লভ্যাংশ হস্তান্তর সম্পন্ন করেনি। তাই কোম্পানিগুলোকে তাদের অবণ্টিত লভ্যাংশ আগামী ১০ জুনের মধ্যে সিএমএসএফ ফান্ডের ব্যাংক বিও হিসাবে স্থানান্তর করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ হলে সিকিউরিটিজ আইনানুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বছরের ২৬ মে পর্যন্ত সিএমএসএফে মাত্র ৭৯৮ কোটি টাকা জমা হয়েছে। যা ফান্ডটির লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় মাত্র দশমিক ১৫ শতাংশ। যদিও জমা হওয়ার কথা ছিল হাজার ৭১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ফান্ডে আশানুরূপ অর্থ শেয়ার জমা না হওয়ায় সম্প্রতি এক সেমিনারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি জানান অবণ্টিত লভ্যাংশ কোথায় গেছে, সেটি জানতে শিগগিরই নিরীক্ষা শুরু করা হবে। তখন আর কাউকে কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন