টানা দরপতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। গত ছয় কার্যদিবসে ৩১৮ পয়েন্ট হারিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স। এর মধ্যে গতকাল একদিনেই ১ শতাংশের বেশি পয়েন্ট কমেছে। সূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল সূচক কমলেও দৈনিক লেনদেন বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হলেও কিছুক্ষণ পর থেকেই পয়েন্ট হারাতে থাকে সূচক। অবশ্য মাঝে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতা দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত বড় পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। দিনশেষে গতকাল ডিএসইএক্স ৭৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৬ হাজার ৮৫২। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, আইএফআইসি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের শেয়ার।
ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিনশেষে ১৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ৪৪২ পয়েন্টে। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ২৭ পয়েন্ট কমে গতকাল ২ হাজার ৫৭৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিনশেষে যা ছিল ২ হাজার ৬০৩
পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৩৭ কোটি টাকা। এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮৪৯ কোটি টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিনশেষে দর বেড়েছে ৬৬টির, কমেছে ২৯১টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৫টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের প্রায় ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ব্যাংক খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দখলে নিয়েছে বস্ত্র খাত। ১২ দশমিক ৮৫ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। চতুর্থ অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৯ দশমিক ২২ শতাংশ। এছাড়া প্রকৌশল খাতের দখলে ছিল ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। গতকাল মুদ্রণ ও কাগজ খাতের শেয়ারে সবচেয়ে বেশি ৪ শতাংশ ঋণাত্মক রিটার্ন এসেছে। ইতিবাচক রিটার্নের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাত।
