বাংলাদেশে বৃহৎ করপোরেট গ্রুপের উত্থান

বদরুল আলম

ব্যক্তি খাতের উদ্যোগী মানসিকতার জন্যই উন্নত অর্থনীতির পথে রয়েছে বাংলাদেশ। অগ্রযাত্রার সূচনা হয়েছিল বিদেশী ঋণনির্ভরতায়। শিল্প-কারখানা যা ছিল, তার অধিকাংশই সরকারি মালিকানাধীন। যেগুলো ছিল অব্যবস্থাপনা আর লোকসানের ভারে জর্জরিত। কর্মসংস্থানের বেশির ভাগই কৃষি খাতে। সে অবস্থা থেকে দেশের অর্থনীতি জীবন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। স্বনির্ভরতা বেড়েছে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কারো কারো শিল্পের চাকা ঘুরছে বিদেশী ভূখণ্ডে।

সফলতা সবাইকে ধরা না দিলেও অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞের উদ্যোগ থামেনি। উদ্যোক্তার উদ্যমী মানসিকতায় ধরা দিতেই হয়েছে সাফল্যকে। উৎপাদন, বিপণন বাজারজাতসহ গোটা সরবরাহ চেইন বা চক্রে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছেন এসব উদ্যোক্তা। বাংলাদেশে এখন এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করে বৈশ্বিক হওয়ার পথে হাঁটতে শুরু করেছে। বর্তমান বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যাদের করপোরেট সংস্কৃতির অবদান বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণে পরিণত করেছে। সব প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করার কাজটিও অনেক জটিল। তার পরও করপোরেট প্রতিষ্ঠান ধারণাটি ভাবলেই যে নামগুলো চলে আসে এমন বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগকারী করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নামগুলোই লেখায় উচ্চারিত হলো।    

বাংলাদেশে করপোরেট আছে এমন ধারণা জন্ম দেয়া অন্যতম প্রতিষ্ঠান স্কয়ার। পথিকৃতের ভূমিকা দিয়ে শুরু করে এখনো ওষুধ খাতের নেতৃত্ব দিচ্ছে, পাশাপাশি খাদ্য প্রশাসন খাতেও আশাতীত সাফল্য দেখিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পণ্যের প্রতি মানুষের আস্থা বিশ্বাসই স্কয়ারকে স্বতন্ত্র স্থানে বসিয়েছে। ওষুধ খাতের অন্যতম নেতৃত্বে থাকা আরেক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো। আবার পোশাক তৈরিকে কেবল রফতানিযোগ্য শিল্পের গণ্ডিতে না রেখে স্থানীয় ব্র্যান্ড ইয়েলো গড়ে তুলেছে প্রতিষ্ঠানটি। নিত্যপণ্যের পাশাপাশি সিমেন্টের মতো নির্মাণ উপকরণসহ শিল্পায়নে ভূমিকা রাখা আরেক করপোরেট প্রতিষ্ঠান মেঘনা। চট্টগ্রামভিত্তিক টিকে গ্রুপের ব্যবসার খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে নিত্যপণ্যের বাণিজ্য, নির্মাণসামগ্রী, ভোজ্যতেল, কাগজ টেক্সটাইল। বন্দরনগরীর আরেক প্রতিষ্ঠান আবুল খায়েরের ব্যবসা রয়েছে বিভিন্ন খাতে। তবে ইস্পাতের মতো ভারী শিল্পসহ নির্মাণ উপকরণে অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠানটি আবুল খায়েরের। বস্ত্র খাত দিয়ে শুরু করা আনোয়ার গ্রুপের ব্যবসায়ও বৈচিত্র্য এসেছে গত পাঁচ দশকে। প্রতিষ্ঠানটির হাত ধরে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিদেশী প্রতিষ্ঠানও।

দেশের অন্যতম বড় করপোরেট আকিজ গ্রুপের ব্যবসা শুরু হয় তামাক পাট পণ্য দিয়ে। তামাক ছেড়ে দিলেও দেশের পাশাপাশি গ্রুপটির নিত্যনতুন খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্য অর্জন হয়েছে বিদেশের মাটিতে। দেশের গণ্ডি পেরিয়েছে এমন আরেক করপোরেট প্রাণ। টিউবওয়েল তৈরি বিপণনের মাধ্যমে যাত্রা করা প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের নিজস্ব ব্র্যান্ড এখন পরিচিত বিদেশেও। ওষুধ, টয়লেট্রিজ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি দেশে খুচরা বিক্রির অন্যতম সুপারশপ ব্র্যান্ডের মালিক এসিআই। ইলেকট্রনিক পণ্য দেশে তৈরি হতে পারে এমন স্বপ্ন দেখানো অন্যতম করপোরেট ওয়ালটন। আবার চামড়াজাত পণ্য বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশে তৈরি ফুটওয়্যারকে পরিচিত করিয়ে দেয়া প্রতিষ্ঠান হলো এপেক্স ফুটওয়্যার। স্বাস্থ্যসেবা খাতেও করপোরেট সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে অন্যতম নিদর্শন বিভিন্ন খাতে বড় বিনিয়োগকারী ইউনাইটেড গ্রুপ। 

স্কয়ার

পঞ্চাশের দশকের শেষভাগে স্যামসন এইচ চৌধুরীর উদ্যোগে যাত্রা করা ছোট উদ্যোগ আজ বিরাট প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। ওষুধ, বস্ত্র খাত, টয়লেট্রিজ পণ্য উৎপাদন, গণমাধ্যমসহ স্কয়ারের বিনিয়োগের গণ্ডি এখন দেশের সীমানা ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশের বাইরে আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় ওষুধ উৎপাদনকারী কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছে স্কয়ার। প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরীর প্রয়াণ হয় ২০১২ সালে। এরপর গত প্রায় এক দশকে স্কয়ার গ্রুপের ব্যবসার আকার বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। বর্তমানে স্কয়ার গ্রুপের বার্ষিক টার্নওভার ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি। দ্বিতীয় প্রজন্মের দক্ষতা প্রদর্শনের পর প্রতিষ্ঠানটিতে এখন যুক্ত হয়েছে তৃতীয় প্রজন্ম।

দেশের অন্যতম বড় করপোরেট স্কয়ার গ্রুপের যাত্রা হয় ১৯৫৮ সালে। চার বন্ধু মিলে ২০ হাজার টাকার মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। বর্তমানে ওষুধ শিল্পের পাশাপাশি বস্ত্র খাত, টয়লেট্রিজ পণ্য উৎপাদনসহ নানামুখী ব্যবসা রয়েছে গ্রুপটির। শূন্য থেকে শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি দ্বিতীয় প্রজন্মের হাত ধরে আরো বড় হচ্ছে। স্থানীয় বাজারনির্ভর শিল্প থেকে এখন স্কয়ারের বিনিয়োগ রয়েছে দেশের বাইরেও। গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান হয়েছে ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের।

বেক্সিমকো 

ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আইএফসির হিসাবে দেশে ন্যূনতম ১০০ কোটি ডলার বার্ষিক আয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো। প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে ওষুধ, তৈরি পোশাক, বস্ত্র, আবাসন সিরামিক। সত্তর দশকের শুরুর দিকে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কনগ্লোমারেট। দেশের পুঁজিবাজারে বেক্সিমকোর মূলধন সবচেয়ে বেশি। ওষুধ শিল্পের জায়ান্ট বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের যাত্রা ১৯৭৬ সালে সালমান এফ রহমানের উদ্যোগে। ১৯৮০ সালে ওষুধ উৎপাদনে আসে বেক্সিমকো। বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ উৎপাদন বিপণনকারীর প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম বেক্সিমকো। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে বাংলাদেশে ব্যবসা করা একাধিক বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিকে অধিগ্রহণ করে নিয়েছে। বেক্সিমকোর বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে পশ্চিমা বিশ্বেও। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রথম ওষুধ কোম্পানি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ রফতানি করে প্রতিষ্ঠানটি।

ইউনাইটেড গ্রুপ

ইউনাইটেড গ্রুপের ব্যবসার খাতগুলো হলো বিদ্যুৎ, আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, উৎপাদন, পোর্ট টার্মিনাল অ্যান্ড শিপিং খুচরা এবং সেবা খাত। গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৭৮ সাল। ওই বছর ছয় বন্ধুর হাত ধরে ইউনাইটেড গ্রুপের যাত্রা হয়। আর গ্রুপের ব্যবসায় দ্বিতীয় প্রজন্মের অংশগ্রহণ শুরু হয় ১৫ বছর আগে। বর্তমানে গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে রয়েছেন দ্বিতীয় প্রজন্মের ১১ জন। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক দর্শনের মধ্যে আছে দেশকে অগ্রাধিকার দেয়া, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ঋণমুক্ত থাকা। প্রথম প্রজন্ম ট্রেডিং ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছিলেন। বর্তমানে রিয়েল এস্টেট, শিক্ষা হেলথকেয়ার ব্যবসায় জোর দিচ্ছে গ্রুপটি।

বসুন্ধরা গ্রুপ

প্রতিষ্ঠাতা বর্তমান চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের উদ্যোগে যাত্রা হয় ১৯৮৭ সালে। দেশের সিমেন্ট, আবাসন, কাগজ ইস্পাত খাতের প্রভাবশালী গ্রুপ বসুন্ধরা। সফল আবাসন প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতিও আছে প্রতিষ্ঠানটির। নব্বইয়ের দশকে সিমেন্ট, কাগজ, টিস্যু পেপার ইস্পাত উৎপাদন, এলপি গ্যাসের বোতলজাত এবং বিতরণের পাশাপাশি আরো অনেক উদ্যোগের সঙ্গে রয়েছে বসুন্ধরা। পরিকল্পিত শিল্পায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের অনুমতি পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রুপের আওতায় আছে ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রা.) লিমিটেড, বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, বসুন্ধরা সিমেন্ট, বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড, বসুন্ধরা মাল্টি পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বসুন্ধরা টিস্যু ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বসুন্ধরা স্টিল কমপ্লেক্স লিমিটেডসহ ২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান।

বসুন্ধরা গ্রুপের নির্মিত বসুন্ধরা সিটি দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শপিংমলের দাবিবার। রাজধানী ঢাকার পান্থপথে কারওয়ান বাজারের কাছে অবস্থিত বহুতল ভবনটির স্থাপত্যশৈলীও চোখে পড়ার মতো। একটি ২১ তলাবিশিষ্ট ভবন, যার নিচের আটতলা বিপণিবিতানের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং অবশিষ্ট তলাগুলো বসুন্ধরা গ্রুপের দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ভবনের বিপণিবিতান অংশে প্রায় হাজার ৫০০টি দোকানের জায়গা রয়েছে। আছে খাবারের দোকানের জন্য একটি নির্দিষ্ট তলা, মাটির নিচে বা বেজমেন্ট লেভেলে অবস্থিত একটি বড় শরীরচর্চা কেন্দ্র, একটি মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল এবং এর ওপরের তলায় শিশুদের বিনোদন কেন্দ্রসহ একটি রেস্তোরাঁ। ছাদে বাগানসহ সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই বিপণিবিতানটি ঢাকা নগরীর আধুনিকায়নের অন্যতম প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

টি.কে. গ্রুপ

টিকে গ্রুপ। ১৯৭২ সালে যাত্রা করা টিকে গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে আছে ৪৩টি উৎপাদন ইউনিট। ব্যবসায়িক খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে নিত্যপণ্যের বাণিজ্য, নির্মাণসামগ্রী, ভোজ্যতেল, কাগজ টেক্সটাইল। দুই ভাই মোহাম্মদ আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আবুল কালামের হাতে যাত্রা টিকে গ্রুপের। পিতা মীর আহমেদ সোয়াদাগরের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হন দুই ভাই। তবে দেশের সেবা করার জন্য নতুন ব্যবসায়ে সুযোগের সন্ধানে ছিলেন। সেই অনুসন্ধানী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশেই আজ টি.কে. গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম বড় করপোরেট। টি.কে গ্রুপের বর্তমান পণ্যের পোর্টফোলিওতে ভোজ্যতেল, ময়দা, চা, সিমেন্ট, রাসায়নিক, কাঠের বোর্ড, হ্যাচারি থেকে শিপ বিল্ডিংয়ের মতো পণ্যসামগ্রী রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি তাদের সাফল্যের গল্পটি বিশাল আকার ধারণ করেছে এবং ব্যবসার জগতে ফাস্ট মুভার হিসাবে পরিচিত করেছে।

এসিআই

২০১৯-২০ অর্থবছরে এসিআই গ্রুপের বার্ষিক আয় হাজার ৯০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে কনজিউমার ব্র্যান্ডের অবদান ছিল প্রায় ২৪ শতাংশ। প্রায় শূন্য থেকে শুরু করা কনজিউমার ব্র্যান্ডকে মহীরূহে পরিণত করতে নতুন নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ব্র্যান্ডিংয়ের বাস্তবায়ন করেছে এসিআই গ্রুপ। এসিআই অ্যারোসল লবণ এখন সুপার ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। এসিআই অ্যারোসল, মশার কয়েল, স্যাভলন, এসিআই পিওর আটা, ময়দা, সুজি, এসিআই পিওর মসলাসহ আরো বেশকিছু পণ্যকে বাজারের নেতৃস্থানীয় হয়ে উঠেছে। এসিআই অ্যারোসল মার্কেটের ৯৫ শতাংশ স্যাভলন ৮০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার দখল করতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি স্যাভলন সাবান বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। ইউনিলিভারের মতো বহুজাতিক কোম্পানির ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সফল হওয়া প্রতিষ্ঠান এসিআই গ্রুপ।

দেশে বর্তমানে সুপারশপের বাজারের আকার দাঁড়িয়েছে হাজার কোটি টাকায়। প্রতি বছর ১৫-১৮ শতাংশ হারে এর বাজার বাড়ছে। সুপারশপের বাজারের ৪৯ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসিআই লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান এসিআই লজিস্টিকস লিমিটেড (স্বপ্ন) ঢাকাসহ দেশের ১৪টি জেলায় স্বপ্নর ১৪৪টি আউটলেট রয়েছে। স্বপ্নর ৭৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এসিআই লিমিটেডের কাছে। স্বপ্ন দেশে যাত্রা করে ২০০৮ সালে। ঢাকা ঢাকার বাইরে স্বপ্নর বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। স্বপ্ন এক্সপ্রেসের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশব্যাপী এর ব্যবসার পরিধি আরো বিস্তৃত করছে।

আকিজ গ্রুপ

১৯৪০ সালের শেষ দিকে পাট বাণিজ্যের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করেন সেখ আকিজ উদ্দিন। বর্তমানে গ্রুপের বিনিয়োগ আছে মালয়েশিয়ায়। ৭৩ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবসা করলেও আকিজ গ্রুপের শিল্পে বড় ধরনের বিনিয়োগ নব্বইয়ের দশকে। গ্রুপটির ব্যবসার খাতগুলোর মধ্যে আছে নির্মাণসামগ্রী, দুগ্ধ খামার, পানীয়, কাগজ সমুদ্রগামী জাহাজ পরিবহন। নির্মাণ উপকরণ খাতে বৃহৎ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আকিজ গ্রুপের নাম উল্লেখযোগ্য। সত্তরের দশকে মোটরচালিত কারখানা শুরু করেন সেখ আকিজ। ওই সময়ই প্রিন্টিং-প্যাকেজিং কারখানা গড়ে তোলা হয়। সেটা ছিল বড় ধরনের রূপান্তর। নব্বইয়ের দশকে বস্ত্র খাতে আসে আকিজ গ্রুপ। সময় আরো অনেক নতুন ব্যবসার খাতগুলোর মধ্যে ছিল সিমেন্ট, পার্টিকেল বোর্ড মিল রকম কিছু ব্যবসা। এরপর ১৯৯৭ সালে আকিজ গ্রুপের জুট মিলেরও যাত্রা হয়। ২০০০ সালের পর ব্যবসাগুলো সম্প্রসারণের পাশাপাশি আরো কিছু ব্যবসা শুরু করে আকিজ গ্রুপ। ২০১০ সালে সিরামিকের ব্যবসা শুরু হয়। গ্রুপের মোট কর্মসংস্থান ৭০ হাজারের বেশি। টার্নওভার ১৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সম্প্রতি লোকসানের বোঝা টানতে না পেরে রাষ্ট্রায়ত্ত সব পাটকল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু ব্যক্তি খাতের প্রতিষ্ঠান আকিজ জুট মিলস বড় হতে হতে বর্তমানে পাটপণ্যের বৈশ্বিক বাজারে বৃহত্তম প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। বিশ্বেই শীর্ষ পাট সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানও আকিজের। মোট বৈশ্বিক চাহিদার ২৫ শতাংশ একাই সরবরাহ করছে আকিজ পরিবারের প্রতিষ্ঠান।

প্রাণ আরএফএল গ্রুপ

টিউবওয়েল তৈরি বিপণনের মাধ্যমে যাত্রা প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল হিসেবে আমজাদ খান চৌধুরী অবসর নেন। ১৯৮১ সালে রংপুরে শুরু করেন ফাউন্ড্রি বা টিউবওয়েল তৈরি আবাসন ব্যবসা। পুঁজি বলতে পেনশনের টাকা। ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা পায় এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড প্রাণ। স্থানীয় বাজারে দেশের প্রায় সব জেলায় আছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পদচারণা। পরবর্তী সময়ে তা দেশের সীমানাও ছাড়িয়েছে। ১৯৯৭ সালে ফ্রান্সে আনারস রফতানি দিয়ে শুরু করে এখন প্রাণের পণ্য বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশে রফতানি হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠাতা আমজাদ খান চৌধুরীর প্রয়াণ হয় ২০১৫ সালে। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ সূত্র জানিয়েছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে গ্রুপের বার্ষিক আয় ছিল হাজার ৭০০ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা ১৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। প্রথম প্রজন্মের প্রয়াণের পর প্রাণ-আরএফএলের নতুন বিনিয়োগের খাতগুলোর মধ্যে আছে ফুটওয়্যার, রাসায়নিক, সুরক্ষা পণ্য টয়লেট্রিজ। আমজাদ খানের প্রয়াণের সময় কোম্পানিটির কর্মী ছিল ৭৫ হাজার। পাঁচ বছর অতিক্রমের পর বর্তমানে কর্মসংস্থান লাখ ১৫ হাজার হওয়ার পথে আছে।

মেঘনা গ্রুপ

মেঘনা গ্রুপের ৪৮টি শিল্প-কারখানায় এখন ৩৫ হাজার কর্মী কাজ করছেন। দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে চলেছে মেঘনা। মেঘনা গ্রুপের কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড, সোনারগাঁ সিড ক্রাশিং মিলস লিমিটেড, মেঘনা বলপেন অ্যান্ড অ্যাকসেসরিজ এমএফজি লিমিটেড, মেঘনা নুডলস অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরি লিমিটেড, সোনারগাঁ প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ফ্রেশ ওয়েল্ডিং ইলেকট্রোডস অ্যান্ড ওয়্যার, মেঘনা ফ্রেশ এলপিজি লিমিটেড, সোনারগাঁ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ডকইয়ার্ড লিমিটেড ফ্রেশ সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (ইউনিট-) নয়টি শিল্প-কারখানায় প্রায় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবসার খাতগুলোর মধ্যে আছে ভোজ্যতেল, দুগ্ধ দুগ্ধজাত পণ্য, চিনি, রাসায়নিক, সিমেন্ট, কাগজ প্রিন্টিং। ১৯৭৬ সালে কামাল ট্রেডিং নামে জন্ম নেয় বর্তমান মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। উৎপাদন খাতে গ্রুপটির যাত্রা ভোজ্যতেল পরিশোধন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। ১৯৮৯ সালে যাত্রা করা ওই প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল মেঘনা ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

আবুল খায়ের গ্রুপ

দেশের আরেক বৃহৎ করপোরেট আবুল খায়ের গ্রুপের যাত্রা হয় ১৯৫৩ সালে। চট্টগ্রামভিত্তিক প্রতিষ্ঠাতা আবুল খায়েরের হাত ধরে প্রতিষ্ঠানের মূল ব্যবসা ছিল বিড়ি ট্রেডিং। প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তার প্রয়াণের পর দ্বিতীয় প্রজন্মের হাত ধরে স্টিল, সিরামিক, ডেইরি প্রডাক্টসহ চা বাগান, খাদ্যদ্রব্য, সিমেন্ট তামাকজাত পণ্য উৎপাদন করে বহু ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আজকের আবুল খায়ের গ্রুপ। বর্তমানে দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠানের কর্মসংস্থান ছাড়িয়েছে ৪৫ হাজার। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বেশি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট কাজ করেন প্রতিষ্ঠানটিতে। দেশী-বিদেশী দক্ষ নির্বাহীদের নিয়োগ দিয়ে গড়ে তুলেছে করপোরেট সংস্কৃতি। এসব অর্জনে শুরু থেকে প্রভাবক হিসেবে রয়েছেন প্রয়াত আবুল খায়েরের বড় সন্তান গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম।

দ্বিতীয় প্রজন্মের হাত ধরে স্টিল, সিরামিকস, ডেইরি প্রডাক্টসহ চা বাগান, খাদ্যদ্রব্য, সিমেন্ট তামাকজাত পণ্য উৎপাদন করে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। উত্তরসূরিরা গড়ে তুলেছেন মাঝারি ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান। নব্বইয়ের দশকে স্টারশিপ কনডেন্সড মিল্কের মতো ব্র্যান্ডের পাশাপাশি গরু মার্কা ঢেউটিন দিয়ে ইস্পাত শিল্পে নাম লেখায়। একই দশকে প্রতিষ্ঠা পাওয়া প্রতিষ্ঠানটির খাদ্য ব্র্যান্ডের মধ্যে আছে স্টারশিপ ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার। ১৯৯৭ সালে আসে মার্কস ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার। আর সিলন চা নিয়ে বাজারে আসে ২০০৪ সালে। রড উৎপাদনে বড় ধরনের বিনিয়োগের পাশাপাশি সিমেন্ট খাতেরও বেশির ভাগ চাহিদা পূরণে সক্ষমতা তৈরি করেছে আবুল খায়েরের শাহ সিমেন্ট।

আনোয়ার গ্রুপ

শিল্পোদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন ছিলেন সিটি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান। ঢাকা- আসনের সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আনোয়ার হোসেনের জন্ম ১৯৩৮ সালে। চলতি বছর ১৭ আগস্ট ৮৩ বছর বয়সে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে আলহাজ আনোয়ার হোসেন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৫২ সালে আলহাজ আনোয়ার হোসেন তার পারিবারিক ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনার উদ্যোগ নেন। তিনি নিজে ব্যবসা শুরু করেন ১৯৫৩ সালে। ওই বছর চকবাজারে ২২০ নম্বর দোকানে নিজের ব্যবসার যাত্রা শুরু হয় আনোয়ার ক্লথ স্টোর নামে।  ১৯৬৮ সালে আনোয়ার সিল্ক মিলস প্রতিষ্ঠা করেন আনোয়ার হোসেন। বর্তমানে তার গ্রুপ ৩৬টি পণ্য সেবা খাতের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। গ্রুপটির অধীনে কোম্পানি রয়েছে ২০টি। ২০০৮ সালে ডান অ্যান্ড ব্র্যাডস্ট্রিট কর্তৃক দেশের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় গ্রুপ হিসেবে আনোয়ার গ্রুপ স্বীকৃতি অর্জন করে। গ্রুপটি বর্তমানে বস্ত্র, নির্মাণ সামগ্রী, পলিমার, পাট, রিয়েল এস্টেট, ফার্নিচার হোম ডেকর, স্টিল, সিমেন্ট, ব্যাংক, সিমেন্ট শিট, ইন্স্যুরেন্স, নন-ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন, ক্যাপিটাল মার্কেট, অটোমোবাইল ইত্যাদিতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ওয়ালটন

প্রায় এক দশক আগের কথা। ইলেক্ট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে বিদেশী পণ্যের ওপর নির্ভর করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না দেশের মানুষের। এই নির্ভরশীলতা কমিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। শুধু পণ্য তৈরি করেই বসে থাকেনি, ওয়ালটন এখন দেশের বাজারে বিশ্বের বাঘা বাঘা সব ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে আছে। অন্যদিকে দামের ক্ষেত্রে মানুষের সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়ও করছে তারা। পাশাপাশি বিশ্বমানের পণ্য তৈরি আগ্রাসী বিপণন কৌশলের মাধ্যমে জনগণের পছন্দের প্রথম সারিতে উঠে এসেছে ওয়ালটন। এখন তাদের স্বপ্ন গাড়ি বানানো এবং সে পথে যাত্রাও শুরু করেছে তারা।

বাংলাদেশী পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ের লক্ষ্যে ওয়ালটন আমাদের পণ্য এমন স্লোগানও ধারণ করেছিল ওয়ালটন। সেই স্লোগান ধারণ করেই বর্তমানে টিভি, ফ্রিজ, মোটরবাইক, এলইডি ল্যাম্প, জেনারেটর, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, আয়রন, মোবাইল হ্যান্ডসেট, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) তৈরি করছে তারা। ফ্রিজ বাজারেও নেতৃত্ব স্থানে রয়েছে ওয়ালটন।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, ১৯৭৭ সালে আরবি গ্রুপ যাত্রা শুরু করে। তবে ইলেক্ট্রনিকস পণ্যের বাজারে ওয়ালটনের আগমন অনেক পরে। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি গাজীপুরে নিজস্ব কারখানা স্থাপন করে আর উৎপাদন শুরু করে ২০০৮ সালে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক টার্নওভার ২৫৫ কোটি টাকা। শুধু দেশেই নয়, ওয়ালটন ২০১০ সাল থেকে বিদেশেও পণ্য রফতানি শুরু করে। পর্যায়ক্রমে রফতানির ব্যাপ্তি ছড়িয়েছে মিয়ানমার, নেপাল, কাতার, সৌদি আরব, দুবাই, সিঙ্গাপুর, সুদান   দক্ষিণ আফ্রিকায়।

এপেক্স

ফুটওয়্যারের আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ প্রবেশ করে নব্বই দশকের শুরুতে। এর প্রথম অনুপ্রেরণা মেলে ১৯৮৯ সালে। সে সময় চামড়া প্রদর্শনী হতো হংকংয়ে। এতে অংশ নেয় এপেক্স ট্যানারি নামে একটি প্রতিষ্ঠান। হংকং-জাপান যোগাযোগ সুবিধার কারণে প্রদর্শনীতে অনেক জাপানি ক্রেতা আসতেন। তাদের মধ্যে এপেক্সের চামড়ার বড় ক্রেতারাও ছিলেন। এপেক্সের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর সঙ্গে মারুটোমি নামের এক জাপানি জুতা বিক্রেতা কোম্পানির সংযোগ ঘটিয়ে দিলেন তারা। প্রতিষ্ঠানটির তখন শুধু খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রই ছিল প্রায় হাজার ১০০টি। রফতানিমুখী জুতা উৎপাদনকারী কারখানা হিসেবে এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের যাত্রা ১৯৯০ সালে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তি তৈরি হয়েছিল সত্তরের দশকের মাঝামাঝি। সে সময় লোকসানি প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন ট্যানারিকে নিলামে তোলে সরকার। ১২ লাখ ২২ হাজার ডলারে ট্যানারিটি কিনে নেন উদ্যোক্তা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় এপেক্স ট্যানারি।

সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর হাতে পড়ে চামড়াজাত জুতার ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ হিসেবে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে নিতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি। ফলে জুতার রফতানিমুখী প্রথম কারখানা হিসেবে যাত্রা করলেও ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে খুব একটা বেগ পোহাতে হয়নি এপেক্স ফুটওয়্যারকে। সর্বোচ্চ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল প্রায় ১৬ হাজার জোড়া। এখন রফতানির মূল বাজার ইউরোপ। মোট রফতানির ৩০-৩৫ শতাংশই হয় জার্মানিতে। এপেক্স ফুটওয়্যারে এখন কর্মী সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। এপেক্স গ্রুপেরও কলেবরও বেড়েছে। গ্রুপের আওতাধীন অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এপেক্স ফার্মা, ব্লু ওশান ফুটওয়্যার, এপেক্স এন্টারপ্রাইজ, এপেক্স ইনভেস্টমেন্ট, গ্রে অ্যাডভারটাইজিং ইত্যাদি।

 

বদরুল আলম: সাংবাদিক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন