ঈদুল আজহা উপলক্ষে আটদিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করে গণপরিবহন চালানোর অনুমতি দিয়েছিল সরকার। ঈদযাত্রার সেই আটদিনে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো ৪৪৭ জন। যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনটির বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে সংগঠনটি।
দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদপত্র এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের সংবাদ বিশ্লেষণ করে ‘ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০২১’ তৈরির কথা জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদযাত্রার আটদিনে (১৫-২২ জুলাই) সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৪০টি, যাতে মৃত্যু হয়েছে ২৭৩ জনের। আর সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে ২৬২টি দুর্ঘটনায় ২৯৫ জন নিহত ও ৪৮৮ জন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। ৮৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত, ৫৯ জন আহত হয়েছেন, যা মোট সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৩৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। অন্যদিকে দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনের মধ্যে ২৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান, লরি, ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ কার, মাইক্রো, জিপ, ৮ দশমিক ৬ শতাংশ নছিমন, করিমন, ট্রাক্টর, লেগুনা, মাহিন্দ্রা, ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ অটোরিকশা, ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক, ভ্যান, সাইকেল ও বাসের পরিমাণ ছিল ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বিগত ঈদগুলোতে সরকারের নানা মহলের তত্পরতা থাকায় দুর্ঘটনা কিছুটা কম ছিল। কিন্তু এবারের ঈদযাত্রায় সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি তুলনামূলকভাবে বেড়েছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহসভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
