সময়ের ভাবনা

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও সামাজিক পরিবর্তন

ড. মতিউর রহমান, শিশির রেজা

সাধারণভাবে বিপ্লব বলতে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ সংঘাতকে বোঝায়, যার মাধ্যমে সরকার, সংবিধান কোনো দেশের সমাজ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। বিপ্লবকে ইতিবাচক নেতিবাচক উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা হয়। পণ্ডিত দার্শনিকরা বিপ্লবকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। বলা হয়ে থাকে, মানবসভ্যতার শুরুই হয়েছে বিপ্লবের মাধ্যমে। বিভিন্ন ধরনের বিপ্লবের কথা আমরা জানি। যেমন সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি। শিল্প বিপ্লবও তেমনি এক বিপ্লব। যান্ত্রিক শক্তি আবিষ্কারের ফলে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ইউরোপের শিল্পজগতে উৎপাদন ব্যবস্থায় যে পরিবর্তন ঘটে, তা শিল্প বিপ্লব হিসেবে পরিগণিত হয়। মানবসভ্যতার ইতিহাসে তিনটি বড় শিল্প বিপ্লব গোটা দুনিয়ার গতিপথ ব্যাপকভাবে পাল্টে দিয়েছিল। প্রথম শিল্প বিপ্লব ঘটেছিল ১৭৮৪ সালে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারের মাধ্যমে। বিদ্যুৎ আবিষ্কার হয় ১৮৭০ সালে। ফলে দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব ত্বরান্বিত হয় এবং তৃতীয় শিল্প বিপ্লব ঘটে ১৯৬৯ সালে ইন্টারনেট আবিষ্কারের মাধ্যমে। ইন্টারনেটের আবিষ্কার শিল্প বিপ্লবের গতি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তবে আগের তিনটি শিল্প বিপ্লবকে ছাড়িয়ে গেছে আজকের যুগের ডিজিটাল বিপ্লব, যাকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

ডিজিটাল বিপ্লবকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হিসেবে প্রথম সংজ্ঞায়িত করেন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের চেয়ারম্যান ক্লাউস সোয়াব তার লেখা দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলেশন গ্রন্থে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত গ্রন্থে তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পরবর্তী সময়ে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ধারণার ব্যাপক প্রচার প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নেয়। তারও আগে ২০১১ সালে একদল জার্মান বিজ্ঞানী শিল্প-কলকারখানাগুলোয় কীভাবে অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করা যায় বা ডিজিটাল কৌশল প্রয়োগ করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। যেখানে কম জনবল দিয়ে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে পণ্য উৎপাদন সহজ হবে। সেখান থেকেই মূলত চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ধারণাটির উদ্ভব। উল্লেখ করা যেতে পারে, ইন্টারনেট আবিষ্কারের ফলে নানা ধরনের হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের বিকাশ ঘটে দ্রুতগতিতে। ডিজিটাল বিপ্লব বা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী অসংখ্য হাইটেক করপোরেশন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যেমন মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগুল, অ্যামাজন, আলিবাবার মতো অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। প্রযুক্তিকে নির্ভর করে গড়ে উঠেছে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে মহাকাশে ভ্রমণের জন্য অত্যাধুনিক মহাকাশযান তৈরির প্রতিষ্ঠান। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে এসব প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজসাধ্য করার জন্য নানা রকমের ডিজিটাল উদ্ভাবন সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার সব ধরনের সেবা আমরা পাচ্ছি মুহূর্তে। সারা দুনিয়া এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা এদের সেবা ছাড়া অচল। উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত প্রত্যেকেই আমরা ডিজিটাল সেবার আওতাভুক্ত। সেলফোনে ১০ টাকার টক টাইম কেনা থেকে শুরু করে নেটফ্লিক্সে সদ্য নির্মিত হলিউড মুভি দেখা, অনলাইনে খাবার অর্ডার করা থেকে দামি ব্র্যাণ্ডের গাড়ি কেনাসবই এখন ডিজিটাল বিপ্লবের অবদান। ডিজিটাল যুগে কী করা সম্ভব নয়, তার চেয়ে জানা ভালো কী করা যায় না।

এবার আসা যাক দুর্যোগ পুঁজিবাদ প্রসঙ্গে। কানাডিয়ান লেখক, ফিল্মমেকার সমাজকর্মী ২০০৭ সালে শক ডক্ট্রিন: দ্য রাইজ অব ডিজাস্টার ক্যাপিটালিজম শিরোনামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন, যার সারার্থ হলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কীভাবে নয়া উদারবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা টিকে থাকে মূলত সংকট তৈরি করে এবং সংকটকে কাজে লাগিয়ে। তিনি দেখিয়েছেন ১৯৭৩ সালের চিলি থেকে শুরু করে ইরাক পর্যন্ত কীভাবে মিল্টন ফ্রিডম্যানের মুক্ত বাজার অর্থনীতি প্রতিক্রিয়াশীল তত্ত্ব বাস্তবায়ন করা হয়েছে শক থেরাপি মাধ্যমে।

বিশ্বের উন্নত, অনুন্নত দেশ নির্বিশেষে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-প্রাকৃতিক দুর্যোগকে কাজে লাগিয়ে (কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুর্যোগ সৃষ্টি করে) নয়া উদারবাদী রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এলিট আন্তর্জাতিক করপোরেট সংস্থাগুলো তাদের প্রতিক্রিয়াশীল, আরোপিত নীতি গ্রহণে বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোকে বাধ্য করে এবং একের পর এক অঞ্চলের নিজস্ব রাজনীতি-অর্থনীতি-সংস্কৃতিসহ গোটা জীবনযাপন মুখ থুবড়ে পড়ে। ক্লেইন একে বলছেন দুর্যোগ পুঁজিবাদ স্থানিক রাজনীতি-অর্থনীতি-সংস্কৃতির স্বচ্ছন্দ বিকাশকে শক থেরাপির মাধ্যমে স্তব্ধ করাই যার মূল লক্ষ্য। এভাবে বৈশ্বিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এলিটদের আরোপিত প্রতিক্রিয়াশীল নীতি চাপিয়ে দেয়ার মতবাদই শক ডক্ট্রিন।

গোটা পৃথিবী আজ করোনায় পর্যুদস্ত। নিঃসন্দেহে মানবজাতির জন্য এটি বড় ধরনের একটি শক বিশ্বে পর্যন্ত ৪০ লাখেরও অধিক মানুষ মারা গেছে এবং কোটি কোটি মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ এখন মৃত্যুপথযাত্রী। থমকে গেছে গোটা পৃথিবী। সব রকমের সামাজিক-রাজনৈতিক তত্পরতা ব্যাহত হচ্ছে। মানুষ ভাইরাস থেকে বাঁচতে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সরাসরি দেখা-সাক্ষাৎ বা মেলামেশার তেমন সুযোগ আর নেই সময়ে। তদুপরি বিভিন্ন দেশের সরকার ঘোষিত লকডাউন বা শাটডাউনের কারণেও মানুষকে গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে। অবস্থায় প্রযুক্তিনির্ভর যোগাযোগই হয়ে উঠেছে মানুষের জন্য একমাত্র উপায় বা মাধ্যম। আর এভাবেই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণ মানুষের পকেট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, হচ্ছে বিপুল অর্থের মালিক। আধা দক্ষ, অদক্ষ নাগরিকরা পড়ে গেছে সফটওয়্যার-হার্ডওয়্যারের সৃষ্ট জালে। নাওমি ক্লেইনের মতে, রকম একটা নজিরবিহীন সংকট সংকট-পরবর্তী সময়কে কীভাবে বিশ্বের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এলিটরা তাদের মুনাফা তৈরির কাজে লাগাতে পারে, তা এখান থেকেই অনুধাবন করা সম্ভব।

বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য থেকে আমরা এরই মধ্যে জানতে পারছি করোনাকালীন কীভাবে বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সংস্থার সম্পদ মুনাফা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে উঠেছে। গুগল, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, ফেসবুক প্রভৃতির মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ মুনাফা বেড়েছে অত্যধিক, যা আমরা প্রায়ই সংবাদপত্র পড়ে টেলিভিশনের খবরের মাধ্যমে জানতে পারছি। অন্যদিকে সারা বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতিবিদ প্রতিনিয়ত গবেষণা করে দেখাচ্ছেন যে করোনা মহামারীর শুরু থেকে পর্যন্ত অর্থাৎ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক মানুষ দরিদ্র হয়েছে। কর্মহীন হয়েছে। অনেকে তাদের সব সহায়-সম্পদ হারিয়ে হয়েছে নিঃস্ব। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ পেটে ক্ষুধা নিয়ে দিন পার করছে। ভয়, উদ্বেগ, অনিশ্চয়তা নিরাপত্তাহীনতায় তাদের সময় পার করতে হচ্ছে। অন্যদিকে কোটি কোটি বিলিয়ন খরচ করে কেউবা মহাকাশে ভ্রমণ করে বেড়াচ্ছে। সত্যিই এক অদ্ভুত সময় আমরা পার করছি। যদিও করোনা শুরুর আগেই বিশ্বব্যাপী শতাংশ মানুষের হাতে সম্পদ কেন্দ্রীভূত ছিল। করোনার আগ্রাসন সেই ব্যবধান কতটা বাড়িয়েছে, সেটি এখন নতুন করে গবেষণার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

একথা প্রমাণিত যে করোনা শক-কে কাজে লাগিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আর্থিক লাভবান গোষ্ঠী হাইটেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বহুজাতিক করপোরেট সংস্থা। সেই সঙ্গে অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। করোনা সংকটে যাদের গায়ে এক ফোঁটা আঁচড়ও লাগেনি, বরং আর্থিকভাবে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য। অন্যদিকে বিপুলসংখ্যক মানুষ হয়েছে নিঃস্ব। আমাদের মতো দেশ, যেখানে এমনিতেই অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে, তাদের জন্য এক মহাক্রান্তিকাল। যাদের ভবিষ্যৎ সঞ্চয় বলে কিছু নেই, তাদের অবস্থা ভাবলে আরো শিউরে উঠতে হয়। বোঝাই যাচ্ছে, এমন এক পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমজীবী মানুষের চিরন্তন লড়াই কঠিনতর হয়ে উঠতে চলেছে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে তবু কিছুটা ভরসা আছে। কিন্তু  অনানুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে যারা কাজ করে, সেসব মানুষ প্রবল অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হতে যে চলেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। করোনাকালে অর্থনীতির এই বেহাল সমাজ রাষ্ট্রের জন্য অসম্ভব পরিবর্তনকামী। সমাজ পরিবর্তনের কারণগুলো যারা কার্যকর করে, তাদের বলা যায় পরিবর্তনের অনুঘটক। অনুঘটকগুলোর মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন একেক সময়ে একেক দেশে তীব্রভাবে অনুভূত হয়।

প্রথম, দ্বিতীয় তৃতীয় শিল্প বিপ্লব যেসব দেশে সংঘটিত হয়েছিল, তার প্রভাবে সমাজ জীবনেও ঘটেছিল ব্যাপক পরিবর্তন। সেসব পরিবর্তনের ইতিহাস আমরা সমাজচিন্তক ইতিহাসবিদদের রচনা থেকে জানতে পারি। সমাজবিজ্ঞানীরাও সামাজিক পরিবর্তনের বিভিন্ন তত্ত্ব প্রদান করেছেন। সেসব তত্ত্বের ভিত্তিতে এবং বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, ডিজিটাল বিপ্লব বা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকালে উদ্ভূত নভেল করোনাভাইরাস মানুষের স্বভাব, সংস্কৃতি জীবনাচারে অনেক পরিবর্তন সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীজুড়ে কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। অন্যদিকে একশ্রেণীর মানুষের সম্পদ বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। ইতিহাস বলে, ভেঙে পড়া অর্থনীতি যতবার সমাজের গায়ে আঁচড় বসিয়েছে, যতবার দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে সাধারণ মানুষের, ততবারই বিপুল পরিবর্তন ঘটেছে সমাজে। আর এভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে মানুষ। নভেল করোনাভাইরাস সারা বিশ্বের বহু মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করেছে। কিন্তু একদিন অবস্থার অবসান হবেই। তারপর শুরু হবে নতুন লড়াই। মানুষের নতুন করে বাঁচার পরীক্ষা। শুরু হবে এক মানবিক বিপ্লব। এভাবেই ঘটবে সামাজিক পরিবর্তন। নতুন সামাজিক ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত হবে মনুষ্যত্ব, সমতা, সাম্য ভ্রাতৃত্ব। কারণ মানবিক বিপ্লবের বিজয় অনিবার্য।

তবে আশার কথা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সূচিত চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণকে অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে তাদের টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এরই মধ্যে নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে এর গণপ্রয়োগ। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রের জন্য টিকার সমবণ্টন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। শোনা যাচ্ছে ভ্যাকসিন উৎপাদন বণ্টন নিয়ে রাজনীতির কথাও। তবে এটা এখন প্রবল জনপ্রত্যাশায় পরিণত হয়েছে যে বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রত্যেক নাগরিক যেন ভ্যাকসিন নিতে পারে। এজন্য ভ্যাকসিনের সমবণ্টন হতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি দেশের দরিদ্র মানুষের খাদ্য চিকিৎসার ব্যবস্থা সর্বাগ্রে নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে সামাজিক পরিবর্তনের যে সম্ভাবনার কথা বর্ণিত হয়েছে, তা এড়ানো সম্ভব হবে না বলেই প্রতীয়মান হয়।

 

. মতিউর রহমান: গবেষণা পরামর্শক, হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার (এইচডিআরসি), ঢাকা

শিশির রেজা: পরিবেশবিষয়ক বিশ্লেষক সহযোগী সদস্য

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন