প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ড. শামসুল আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গতকাল বঙ্গভবনে নবনিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমকে শপথবাক্য পাঠ করান ছবি: পিআইডি

প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের সদ্য সাবেক সদস্য কৃষি অর্থনীতিবিদ . শামসুল আলম। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গতকাল বঙ্গভবনে নবনিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী . শামসুল আলমকে শপথবাক্য পাঠ করান। সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংসদ সদস্য না হওয়ায় . শামসুল আলম মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন টেকনোক্র্যাট হিসেবে।

করোনা মহামারীকালে নতুন প্রতিমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠান হয় সীমিত পরিসরে কয়েকজন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠতম সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার . শামসুল আলমের প্রতিমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি তাকে জানানো হয়। বিষয়ে ওইদিন বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, পরিকল্পনা কমিশনে ১২ বছর কঠোর পরিশ্রম করেছি। তিনটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরি করেছি সফলভাবে। দুটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করেছি। এছাড়া ১১৪টি বই সম্পাদনা করেছি। এসব প্রকাশনা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সরকার আমার ওপর যে আস্থা রেখেছে, তার প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করব। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ভিত্তিতে ১২ বছর ধরে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন শামসুল আলম। গত ৩০ জুন তার মেয়াদ শেষ হয়। বর্তমান সরকার প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে জিইডি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। এরপর কয়েকবার তার চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ বাড়ানো হয়। জিইডির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে তিনি তিন দশকেরও বেশি সময় ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ২০১৫ সালে কমিশনের সদস্য থাকা অবস্থায় তাকে জ্যেষ্ঠ সচিব করা হয়।

. শামসুল আলম ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচিতে কনসালট্যান্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। অর্থনীতি বিষয়ে শামসুল আলমের ১২টি বই প্রকাশিত হয়েছে, এর মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত। কৃষি অর্থনীতিতে অবদানের জন্য ২০২০ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন