মিয়ানমারের
ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচিত
সরকারকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরানোর চার মাস পরে এই বিচার
শুরু হল। বিচারিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ
সোমবার জান্তা আদালতে প্রথম সাক্ষগ্রহণ শুরু হবে। খবর বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান।
১০
বছরের গণতান্ত্রিক শাসনের পরীক্ষা শেষে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক সামরিক
অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সু চি। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভে কাঁপছে
মিয়ানমার।
সু চির বিরুদ্ধে লাইসেন্সবিহীন ওয়াকি-টকি
রাখা এবং কভিড বিধিনিষেধ ভঙ্গ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে তার বিরুদ্ধে ওঠা
দুর্নীতি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের দিকে মনোনিবেশ করে আদালত।
তবে
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই বিচারের নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলছে, আগামী নির্বাচনে সু চির অংশগ্রহণ ঠেকাতেই তার বিরুদ্ধে এসব
অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত
১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭৫ বছর বয়সী সু চিকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। এ কারণে তার আদালতে
হাজিরার ব্যাপারে খুব কমই তথ্য
পাওয়া যায়।
সু চি অবরুদ্ধ হওয়ার পর থেকেই তার আইনজীবী
মাত্র দুই বার তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন। আজ সোমবার অভিযোগের বিষয়ে যাচাই-বাছাই
করা হবে।
এদিকে
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সু চির বিরুদ্ধে অপর একটি মামলার বিচার কাজ
আগামী ১৫ জুন থেকে শুরু হবে। কেবল এই এক মামলায় অভিযুক্ত হলেই ১৪ বছরের
কারাদণ্ড হতে পারে সু চির।