বাংলাদেশী ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা উৎপাদনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে
দেশে কভিড-১৯ টিকার মজুদ ফুরিয়ে আসায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার
৪০ লাখ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই বাংলাদেশের অনুরোধের আনুষ্ঠানিক জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের
সঙ্গে দেখা করে এ কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের তাত্ক্ষণিক চাহিদা পূরণের জন্য টিকা সরবরাহের বিষয়সহ করোনা মহামারী
মোকাবেলায় দুই দেশের মধ্যে চলমান সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেন। এ সময় মিলার জানান, তার সরকার টিকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা সরবরাহে দক্ষিণ
এশিয়ায় একটি আঞ্চলিক পদ্ধতি থাকা উচিত। মার্কিন সরকার বাংলাদেশী ওষুধ সংস্থাগুলোতে
আমেরিকান টিকা তৈরির সম্ভাবনাগুলো খতিয়ে দেখছে।
প্রসঙ্গত,
এখন পর্যন্ত কভিড-১৯ প্রতিরোধী যেসব টিকা বাজারে এসেছে এর মধ্যে তিনটি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবিত।
টিকা তিনটি এনেছে দেশটির ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান মডার্না, ফাইজার ও জনসন অ্যান্ড জনসন।
বৈঠক-পরবর্তী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক অভিযানের বার্ষিক যৌথ প্রতিক্রিয়া
পরিকল্পনা (জেআরপি) চালু করা, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত, কভিড-১৯ পরিস্থিতি, টিকা ইস্যু ইত্যাদিসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক ও দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে বৈঠকে আলোচনা হয়।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে অবহিত
করেন, সম্প্রতি ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার
(ওআইসি)
নির্বাহী পরিষদের জরুরি বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. এ কে আব্দুল মোমেন দ্রুততম সময়ে ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা
পরিষদকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রতিমন্ত্রী দুই দেশের সমস্যা সমাধানে
বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
আলোচনায় রাষ্ট্রদূত মিলার প্রতিমন্ত্রীকে জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য এ বছরের জেআরপিতেও সর্বোচ্চ
অর্থায়নে ভূমিকা রাখবে যুক্তরাষ্ট্র এবং একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে
বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, প্রত্যাবাসনই বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য।