ময়মনসিংহের ভালুকায় সরকারি খাল ও বন বিভাগের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক্সিল্যান্ট টাইলস অ্যান্ড সিরামিক্স লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে। উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের ফলে উজানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
উপজেলার হবিরবাড়ী ও পাড়াগাঁও গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে লাউতি খাল। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি সিডস্টোর-বাটাজোর সড়কের পাশে পাড়াগাঁও লাউতি ব্রিজসংলগ্ন বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে উঠছে এক্সিল্যান্ট টাইলস নামের একটি কারখানা। এটির পূর্ব পাশে লাউতি খাল ও দক্ষিণে সরকারি খাস জমি। পশ্চিম ও উত্তর পাশে রয়েছে বন বিভাগের জমি। কারখানা কর্তৃপক্ষ খালটির বিভিন্ন স্থানে মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলছে। এছাড়া বনভূমি দখলে নিয়ে তারা স্থাপনা নির্মাণকাজ শুরু করে। বন বিভাগ তাতে বাধা দেয় এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে।
স্থানীয়রা জানায়, একসময় লাউতি খালটিকে বলা হতো লাউতি নদী। এ নদী দিয়ে চলত পাল তোলা নৌকা। এখান থেকে মাছ শিকার করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে ও বাজারে বিক্রি করে এলাকার শত শত পরিবার তাদের জীবিকানির্বাহ করত। নদীটি ভরাট হতে হতে খালে পরিণত হয়েছে। এ খালও ভরাট হচ্ছে। সম্প্রতি এ্যাক্সিল্যান্ট সিরামিক্স কোম্পানি খালের অংশে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাটি ফেলছে।
এ ব্যাপারে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন বলেন, বন বিভাগ বাধা দেয়ার কারণে কাজ আপাতত বন্ধ। খালটি তার পূর্বের স্থানেই রয়েছে।
সহকারী বন সংরক্ষক ও ভালুকা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, পাড়াগাঁও মৌজার ২৯০ ও ২২৭ নম্বর দাগে তিন একর করে জমি দখলে রেখেছে এক্সিল্যান্ড সিরামিক্স নামের একটি কোম্পানি। তারা স্থাপনা নির্মাণকাজও শুরু করেছিল। পরে বনভূমি দখলের ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়। মামলাগুলো চলমান। তাছাড়া তারা যাতে নামজারি ও জমাখারিজ করতে না পারে, সেজন্য ভূমি কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, খাস জমি দখলের ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।