স্মার্টফোন ও গৃহস্থালি সামগ্রী বিক্রি চাঙ্গা

প্রথম প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের মুনাফা ৪৪%

বণিক বার্তা ডেস্ক

স্মার্টফোন স্মার্টটিভি বিক্রি বৃদ্ধির জেরে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের মুনাফা বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টটি। খবর রয়টার্স ব্লুমবার্গ।

গতকাল প্রকাশিত প্রাথমিক প্রতিবেদনে স্যামসাং জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে তাদের পরিচালন মুনাফা হয়েছে দশমিক ট্রিলিয়ন ওন বা ৮৩২ কোটি ডলার, যা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রেফিনিটিভ স্মার্টএস্টিমেটের দশমিক ৮৮ ট্রিলিয়ন ওন পরিচালন মুনাফার পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি।

ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের বিশ্লেষক মাসাহিরো ওয়াকাসুগি বলেন, গত বছর দুর্বল চাহিদার কারণে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্বের বৃহত্তম মেমোরি চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু মহামারী থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টি বেশ দ্রুত হওয়ায় এবং সেমিকন্ডাক্টরের দাম বৃদ্ধিতে বেশ ভালো মুনাফা করেছে স্যামসাং। চলতি বছর পরবর্তী প্রজন্মের ডিআরএএম, ডিডিআর৫ লঞ্চ করাতে চাহিদা আরো চাঙ্গা হবে বলে জানান ওয়াকাসুগি।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট বলছে, স্যামসাংয়ের ফ্ল্যাগশিপ ফোন গ্যালাক্সি এ২১ বিক্রি পূর্ববর্তী ফোনগুলোর চেয়ে অধিক হওয়ায় পরিচালন মুনাফা ট্রিলিয়ন ওনের চেয়ে বেড়ে দশমিক ১৫ ট্রিলিয়ন ওনে দাঁড়াতে পারে। গ্যালাক্সি এস২১ ফোনটির দাম আগের এস২০ ফোনটির চেয়ে ২০ ডলার কমিয়ে রাখা হয়েছিল ২০০ ডলার। এতে ফ্ল্যাগশিপ ফোনটির বিক্রি সিরিজের আগের সব ফোন বিক্রির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হুয়াওয়ের বেহাল দশাও স্যামসাংয়ের ফোনের বাজার সম্প্রসারণে ভূমিকা রেখেছে।

স্যামসাংয়ের টেলিভিশন সেট গৃহস্থালি সামগ্রী বিক্রিও দুই গুণের চেয়ে বেড়ে ট্রিলিয়ন ওনে দাঁড়িয়েছে বলে জানান বিশ্লেষকরা। করোনা মহামারীর কারণে ঘরে অবস্থান বৃদ্ধিতে পণ্যগুলোর বিক্রি বেড়েছে। গত জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে প্রতিদ্বন্দ্বী এলজি ইলেকট্রনিকসেরও বিক্রির রেকর্ডের কারণে তাদের পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে দশমিক ট্রিলিয়ন ওন।

এদিকে স্যামসাংয়ের চিপ ডিভিশনের মুনাফা ২০ শতাংশ কমে দশমিক ট্রিলিয়ন ওনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে টেক্সাসে অস্টিনে অবস্থিত কারখানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকায় ৩০ হাজার কোটি ওনেরও বেশি লোকসান গুনতে হয়েছে

তাদের। স্যামসাংয়ের অস্টিন কারখানায় গোলযোগের কারণে তাদের মাঝারি দামের ফোন নির্মাণ এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন এইচএমসি সিকিউরিটিজের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গ্রেগ রোহ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন