টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী

সরকার প্রত্যেককে সচ্ছলতার আওতায় আনতে কাজ করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মোনাজাত করেন ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‌‘আমরা বহুমাত্রিক কর্মসূচি হাতে নিয়ে দেশের প্রত্যেক মানুষকে আর্থিকভাবে সচ্ছল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা ও জীবনমান উন্নত করতে চাই।’

গতকাল দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘দাড়িয়ারকুল একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের সদস্যদের সঙ্গে এ সভা হয়। এর আগে সকালে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  

মতবিনিময় সভায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর সরকারে আসি। সরকারে আসার পর থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল, বাংলাদেশকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করব এবং জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাজ করব। তখন এই একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পটা, ওই যে জাতির পিতা সমবায় করতে চেয়েছিলেন, তারই আলোকে এটা গড়ে তুলি।’

প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি পরিবারের জন্য এটি ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের একটা ব্যবস্থা। ক্ষুদ্র ঋণে অতিমাত্রায় যে সুদ দিতে হয়, এখানে সেটা দিতে হবে না। বরং সমবায়ের মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকটা পরিবারকে যে সহযোগিতা করব, সেটা থেকে যে উৎপাদন হবে, সেই উৎপাদন থেকে কেউ যদি ১০০ টাকা জমাতে পারে, তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে আরো ১০০ টাকা দেয়া হবে দুই বছরের জন্য। সেটা জমা হবে তার মূলধন হিসেবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি এর জন্য একটা ব্যাংক তৈরি করেছি, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক। এই পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে এটা থাকবে। প্রকল্প থেকে যারা একটু স্বাবলম্বী হবে, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকেই তাদের টাকা থাকবে মূলধন হিসেবে। এ ব্যাংক থেকে ঋণও নেয়া যাবে।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে এটাও বন্ধ করে দেয় এক রকম বলতে গেলে। এর কার্যকারিতাই থাকে না। যা-ই হোক, আমরা পরবর্তী সময়ে সরকারে এসেছি এবং কাজ করে যাচ্ছি।’

পহেলা আষাঢ় থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে বৃক্ষ রোপণের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন শেখ হাসিনা। এ সময় সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন।  

প্রধানমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে একজনকে একটি ধান মাড়াইয়ের মেশিন, দুজনকে দুটি ল্যাপটপ, ৩৮ শিক্ষার্থীকে ৪০ হাজার টাকা করে অনুদান, ১০ জনকে ১০টি ভ্যান, ৩০ জনকে সেলাই মেশিন এবং ৩৮ শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে স্কুল পোশাক, স্কুল ব্যাগ, কাগজ-কলম ও ছাতা তুলে দেন। এছাড়া ১০ জনকে ১০টি বাইসাইকেল, ১০ জনকে বীজ ও সারসহ পুষ্টি বাগানের উপকরণ এবং একজনকে কবুতর খামার করার জন্য ১০ জোড়া কবুতর দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন