ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী-২০২১’ খেতাব পাচ্ছেন দুই বাংলাদেশী। বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সনজীদা খাতুন এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীককে এবার এই সম্মাননা দিচ্ছে ভারত সরকার।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
শিল্পকলা, শিক্ষা, বাণিজ্য, সাহিত্য, বিজ্ঞান, খেলাধুলা, সমাজসেবা ও সরকারি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এই সম্মাননা দেয় ভারত সরকার।
সনজীদা খাতুন একাধারে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক, সঙ্গীতজ্ঞ এবং শিক্ষক। তিনি ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বর্তমানে সভাপতি। এছাড়া জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং স্বতন্ত্র ধারার শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নালন্দা’র সভাপতি।
সনজীদা খাতুন ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতক এবং ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনিকেতন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ১৯৭৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৪ নম্বর সেক্টরের অধীনে দ্বিতীয় গোলন্দাজ বাহিনীকে সংগঠিত করেন। যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব দেয়। তার জন্ম ১৯৫১ সালের ১১ এপ্রিল কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার চৌসই গ্রামে। সাজ্জাদ আলী জহির ১৯৬৯ সালের শেষে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়ে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সামরিক অ্যাকাডেমিতে সিনিয়র ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৭১-এর আগস্টে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশন লাভ করেন। এর পরপরই আগস্টের শেষে তিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে যুদ্ধে যোগ দেন।