পিপিআরসির চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের আহ্বায়ক ড. হোসেন জিল্লুুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সমাজকর্মীদের আলোচনায় এ অভিমত বেরিয়ে আসে। চট্টগ্রাম রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের চট্টগ্রামের নিজস্ব কার্যালয়ে গতকাল এ অনানুষ্ঠানিক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রাম ও শহরের মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী ও সমাজকর্মীরা গোলটেবিলে খোলামেলা মতামত ব্যক্ত করেন। বাস্তব অভিজ্ঞতার পর্যালোচনায় বেশকিছু উদ্বেগের দিক আবার কিছু নতুন সম্ভাবনার দিকও তুলে ধরা হয়। বহু বেসরকারি শিক্ষক কিন্ডারগার্টেন থেকে মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত চরম অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় এক নতুন দরিদ্র গোষ্ঠীতে রূপান্তরিত হচ্ছে ও নিম্নমানের পেশায় ঢুকতে বাধ্য হচ্ছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখার চেষ্টা একটি উদ্ভাবনী দিক, তবে এক্ষেত্রে প্রযুক্তির সহজলভ্যতার প্রশ্নে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত মনোযোগের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা ছোটখাটো অসমাপ্ত কাজের কারণে তাদের শিক্ষাজীবনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি টানতে পারছে না। বড় উদ্বেগের বিষয় করোনা অতিমারীর ছাত্রছাত্রীর মানসিক স্বাস্থ্য এক নতুন নীরব মহামারীতে রূপান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সভা শেষে উপস্থিত সবার সম্মতিতে করোনাকালীন শিক্ষা বাস্তবতা ও করণীয় এ শিরোনামে প্রাসঙ্গিক অংশীজনের মতামত ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে একটি গবেষণা প্রতিবেদন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।