হাজী সেলিম পরিবারের অবৈধ সম্পদ খুঁজবে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পরিবারের অবৈধ সম্পদের উৎস খুঁজে দেখবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই মধ্যে ওই পরিবারের অবৈধ সম্পদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শুরুর কথা জানিয়েছেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান। 

আজ বুধবার দুদক কমিশনার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার ছেলে ইরফান সেলিমের অবৈধ সম্পদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব যদি দুদক আইনে তফসিলভুক্ত হয় তাহলে তা নিয়ে অনুসন্ধান করা হবে।

কমিশনার মোজাম্মেল বলেন, সরকারের জায়গা বা সম্পত্তি হোক, যদি দখল হয় তাহলে দুদক আইনের আওতাভুক্ত হলে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরআগে, গত রবিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ধানমণ্ডি এলাকায় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় পরদিন একটি মামলা হয় থানায়। তাতে ইরফান সেলিম ছাড়াও হাজী সেলিমের প্রোটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু, মোহাম্মদ জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে পথরোধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর, জখম ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন মামলার বাদী নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খান।

মামলা হওয়ার পরপরই গাড়ির চালক মিজানুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী জানিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কলাবাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি কালো রঙের ল্যান্ড রোভার গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৫৭৩৬) পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। ওয়াসিফ ও তার স্ত্রী ধাক্কা সামলে মোটরসাইকেল থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ওই গাড়ি থেকে জাহিদ, দিপু এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই-তিনজন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে নেমে আসে এবং মারধর শুরু করে। তারা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ ও তার স্ত্রীকে উঠিয়ে নেওয়ার এবং হত্যার হুমকি দেয় বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন