বেশ কিছুদিন ধরে ১৫০ টাকার ওপরে কাঁচামরিচের দাম থাকলেও সেটি কমতে শুরু করেছে। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানীকৃত কাঁচামরিচের দাম এখন ১০০ টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে। এমনকি একদিনের ব্যবধানে গতকাল আমদানীকৃত কাঁচামরিচের প্রতি কেজিতে দাম কমেছে ৩০ টাকা পর্যন্ত। মূলত বন্দর দিয়ে আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ কাঁচামরিচ আমদানি হওয়ায় বাজারে চাহিদা ও সরবরাহে কিছুটা ভারসাম্য তৈরি হয়েছে। এ কারণে দাম আগের তুলনায় কমতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল প্রতি কেজি আমদানীকৃত কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১০০-১১০ টাকায়। একদিন আগেও তা ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেই হিসাবে একদিনের ব্যবধানে আমদানি করা এসব কাঁচামরিচ পাইকারি বিক্রিতে দাম কমেছে ৩০ টাকার মতো।
বন্দরের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় দেশে কাঁচামরিচ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সরবরাহ কমে দাম বাড়ে। এমনকি একসময় দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যেতে শুরু করে। এ অবস্থায় হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু করেন। পরে এসব মরিচ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। এরই মধ্যে দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নাগালের মধ্যে রাখতে বেশ কিছুদিন ধরেই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির পরিমাণ আরো বেড়েছে। দেশের বাজারে বাড়তি চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়ায় বন্দরের আমদানিকারকরা আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচামরিচ আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, আগে বন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৬০-৭০ টন কাঁচামরিচ আমদানি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ১০০-১৩০ টনে দাঁড়িয়েছে। এর ওপর শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে বন্দর দিয়ে ২১ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সাতদিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। এ কারণে গত মঙ্গলবার একদিনেই বন্দর দিয়ে ২৮টি ট্রাকে ২২২ টন কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়েছে। ফলে দেশের বাজারে পণ্যটির চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। এছাড়া বাজারে দেশীয় বিভিন্ন অঞ্চলের কাঁচামরিচ উঠতে শুরু করায় দাম কমছে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।
