বিজয় দিবসের আগেই রাজাকারের আংশিক তালিকা প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন বিজয় দিবসের আগেই রাজাকারদের আংশিক তালিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে এ সংক্রান্ত সংসদীয় উপ-কমিটি। 

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি থেকে গঠিত এ উপকমিটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে।

আজ রোববার সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও ওই উপ-কমিটির আহ্বায়ক শাজাহান খান সাংবাদিকদের একথা বলেন।

তিনি বলে, আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে আমরা একটা মিটিং করবো। এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি। কিছু তালিকা আমরা সংগ্রহ করেছি। আশা করছি আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আংশিক তালিকা প্রকাশ করবো। পর্যায়ক্রমে আমরা পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করবো।

উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট রাজাকারের তালিকা তৈরি করতে ছয় সদস্যের উপ-কমিটি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

গত বছর বিজয় দিবসের আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ১০ হাজার ৭৮৯ জন ‘স্বাধীনতাবিরোধীর’ তালিকা প্রকাশ করেন। ওই তালিকায় গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নাম আসায় ক্ষোভ আর সমালোচনার প্রেক্ষাপটে তালিকা স্থগিত করা হয়। 

পরে সংসদে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের থেকে পাওয়া রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের তথ্য হুবহু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এ তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উত্থাপিত হলে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তা প্রত্যাহার করা হয়। 

আজকের বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অনিয়ম তদন্তে সংসদীয় উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সংগঠন এবং একজন মুক্তিযোদ্ধার পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়ে এ উপ-কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির সভাপতি শাজাহান খানকে আহ্বায়ক করে গঠিত উপ-কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, কাজী ফিরোজ রশীদ ও মোসলেম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। 

খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদ্য সাবেকসহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গণি কমিটির কাছে লিখিত আবেদন করে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি মো. ইফতেখারুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। চিঠিতে তারা এমডির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন