ভারতে মানব শরীরে কোভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু

বণিক বার্তা অনলাইন

ভারতে নভেল করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক কোভ্যাকসিনের মানব শরীরে প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে হায়দরাবাদের নিজাম’স ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসে (এনআইএমএস) দুজন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে কোভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া হয়। দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে ১৪ দিনের ব্যবধানে। খবর দ্য হিন্দু।

আগামী ছয় মাস ওই দুই স্বেচ্ছাসেবকের স্বাস্থ্যগত অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। চিকিৎসকরা জানান, এ পর্যবেক্ষণের বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে থাকবে তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে কিনা, তৈরি হলে সেগুলো কাজ শুরু করতে কতদিন সময় নেয় ও অ্যান্টিবডি শরীরে কতদিন টিকে থাকে।

সপ্তাহ দুয়েক আগে এনআইএমএসের পরিচালক ডা. কে মনোহর বলেছিলেন, তারা সবকিছু যাচাই-বাছাই করে দেখছেন। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) অনুমোদন পেলেই মানব শরীরে কোভ্যাকসিনের কার্যকারিতার পরীক্ষা শুরু করবেন।

নভেল করোনাভাইরাসের একটি স্ট্রেইন আইসোলেশনের মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রতিষেধক কোভ্যাকসিনের উপাদান সংগ্রহ করা হয়েছে। এই আইসোলেশনের কাজটি করেছেন পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির গবেষকরা। আর ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্টের কাজ করেছে হায়দরাবাদভিত্তিক ভারত বায়োটেক ইন্ডিয়া লিমিটেড (বিবিআইএল)।

ভারতে ১২টি ইনস্টিটিউটকে কোভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য তালিকাভুক্ত করেছে আইসিএমআর। এনআইএমএস তার একটি। প্রতিষ্ঠানটির ট্রায়াল কার্যক্রমে প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর হিসেবে কাজ করছেন ড. প্রভাকর রেড্ডি। এনআইএমএসের ডিপার্টমেন্ট অব ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজির ফ্যাকাল্টি ও সিনিয়র রেসিডেন্টরা ছাড়াও জেনারেল মেডিসিন, অ্যানেস্থেশিয়া ও রেসপিরেটরি মেডিসিনের চিকিত্সকরাও এ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।

২ জুলাই আইসিএসআরের মহাপরিচালক ডা. বলরাম ভার্গভ উল্লিখিত ১২টি ইনস্টিটিউটের প্রধান বরাবর চিঠি দিয়ে জানান যে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বাছাই করা হয়েছে। তারা যেন অবশ্যই ৭ জুলাইয়ের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেন, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয় ওই চিঠিতে।

সোমবার নতুন করে ৪০ হাজার ৪২৫ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় ভারতে। দেশটিতে একদিনে সংক্রমণ শনাক্তের নতুন রেকর্ড এটি। সব মিলিয়ে ভারতে কভিড-১৯ রোগী শনাক্তের সংখ্যা ১১ লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে ২৭ হাজার ৪৯৭ জন। সংক্রমণের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরই রয়েছে ভারত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন