ভারতে আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্লাজমা থেরাপি

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভারতজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। এরই মধ্যে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ পেরিয়ে গেছে। গত কয়েক সপ্তাহ থেকে আক্রান্তদের চিকিৎসায় দেশটিতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্লাজমা থেরাপি। যদিও এটি কভিড-১৯-এর প্রমাণিত বা অনুমোদিত কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও প্রমাণিত হওয়ার আগে এটা ব্যবহার না করার পক্ষে মত দিয়েছে।

লোকদের যখন কভিড-১৯ বা অন্যান্য ভাইরাসজনিত রোগ হয়, তখন তাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা অ্যান্টিবডি তৈরি করে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবডিগুলো রক্তের তরল অংশ প্লাজমাতে পাওয়া যায়। তবে প্লাজমা থেরাপি নতুন কোনো চিকিৎসা নয়। ডিপথেরিয়ার চিকিৎসার জন্য এটা ব্যবহারের জন্য ১৯০১ সালে জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী এমিল ফন বেহরিং নোবেল পুরস্কার পান। এটা ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু চলাকালীন ব্যবহূত হয়েছিল।

ভারতের অনেক রাজ্য হাসপাতালগুলোকে প্লাজমা নিয়ে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় অংশ নিতে বলেছে। তবে কিছু রাজ্য অন্যদের চেয়ে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ভাইরাসটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোর মধ্যে দুটি মহারাষ্ট্র দিল্লি কেবল থেরাপি সমর্থনই করেনি, বরং তারা প্লাজমা ব্যাংকও প্রতিষ্ঠা করেছে। অন্যান্য চিকিৎসায় রোগীদের উন্নতির লক্ষণ দেখা যায় না এমন রোগীদের ক্ষেত্রেই কেবল চিকিৎসকরা প্লাজমা থেরাপির অনুমতি দেন।

বিশ্বজুড়ে এই থেরাপি নিয়ে কয়েক ডজন গবেষণা চলছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এটা কোনো ম্যাজিক বুলেট নয়। বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকরা প্লাজমা থেরাপিকে প্রত্যাখ্যান করেননি, তবে তারা বলছেন, চলমান গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল চূড়ান্ত নয়।

দিল্লিভিত্তিক ভাইরোলজিস্ট ডা. শহীদ জামিল বলেছেন, থেরাপিটিকে একটি প্রমাণিত নিরাময় হিসেবে বিবেচনা করা যায় কিনা, তা নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না। ধরনের অধ্যয়নের জন্য একটি বৃহৎ বিচিত্র লোকের মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল প্রয়োজন এবং তারপর ফলাফলগুলো মূল্যায়নের জন্য আপনার সময় প্রয়োজন।

বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন