বিষখালীতে ধরা পড়ছে বড় আকারের ইলিশ, দামও চড়া

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ঝালকাঠি

ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালী নদীতে মৌসুমের শুরুতেই ধরা পড়ছে বড় আকারের ইলিশ। তবে চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় দাম একটু বেশি। বড় আকারের মাছ জালে পাওয়ায় জেলেরাও আগ্রহ নিয়ে নদীতে যাচ্ছেন  শিকারে। 

আজ সোমবার বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ খুচরা বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকায়। ওজন আধা কেজির একটু বেশি হলেই দাম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় উঠে যাচ্ছে। আর এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম গুণতে হচ্ছে হাজার টাকার বেশি। 

রাজাপুর উপজেলার মানকি সুন্দর গ্রামের বিষখালী পাড়ের জেলে নজর আলী বলেন, ঝালকাঠির মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের এবং বেশি ইলিশ পাওয়া যায় বিষখালী নদীর সাগর মোহনায়। এবার মৌসুমের শুরুতে চাহিদার তুলনায় কম ধরা পড়ছে। এ কারণে ভোলা ও বরিশাল থেকেও ঝালকাঠিতে ইলিশ আসছে। তবে ভোলা-বরিশালের ইলিশ নোনা হওয়ায় ঝালকাঠির ইলিশের দাম বেশি। বিষখালী নদীর মিষ্টি পানির ইলিশ বেশি সুস্বাদু, তাই চাহিদাও বেশি। 

মাছ বিক্রেতা মধু জানান, তারা প্রধানত সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে মাছ ধরেন। কিন্তু এখন আগের মতো ইলিশ ধরা পড়ছে না। তাই মাছের সরবরাহ কম। আর সে কারাণে দামও একটু বেশি। 

পূর্ব চাঁদকাঠি বাজার ছাড়াও নদী থেকে সদ্য ধরে আনা ইলিশ বিক্রি হয় জেলার রাজাপুর, নলছিটি ও কাঁঠালিয়া উপজেলার বাজারগুলোয়। এসব উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে সুগন্ধা ও বিশখালি নদী। দুই নদীতেই ১২ মাস ইলিশ ধরা পড়ে। 

সুগন্ধা পাড়ের জেলেপাড়ার মাছ বিক্রেতা কানাই লাল মালো বলেন, ভোলা ও বরিশাল সাগরের কাছে হওয়ায় ওসব জেলার ইলিশ লবণাক্ত স্বাদের। ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিশখালি নদী সমুদ্র থেকে অনেক দূরে। তাই এখাকার নদীর পানি মিঠা স্বাদের। তাই এখানকার মাছও সুস্বাদু।

ঝালকাঠি জেলা মৎস কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝা বলেন, গত বছর ঝালকাঠিতে ১ হাজার ৫৮ টন ইলিশ ধরা পড়েছিল। এটা যথেষ্ট নয় বলে অন্য জেলার মাছও আসে। বর্তমানেও তুলনামূলক কম মাছ ধরা পড়ছে। নিষিদ্ধ সময়ে মাছ শিকার না হওয়ায় এখন যা ধরা পড়ছে তার আকার অনেকটা বড়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন