ঝালকাঠির রাজাপুরে ধানসিঁড়ি নদী খনন করে অপরিকল্পিতভাবে স্তূপ করে রাখা মাটিতে বন্ধ হয়ে গেছে সংযোগ খাল ও সেচ নালা।
এতে নদীতীরবর্তী প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় ধানসিড়ি নদী খননের মাটিতে সংযোগ খাল ও সেচনালা চাপা পড়ে আছে। এতে বাগরী ব্র্যাক মোড় এলাকা থেকে উত্তর বাগরী গাজীবাড়ির খাল পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সেচ সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি এসব জমিতে বর্ষার পানি জমে থাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্তূপকৃত মাটির কারণে খালের পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। নতুন পানি না আসায় এলাকাবাসী ওই দূষিত পানি রান্না ও ধোয়া-মোছার কাজে ব্যবহার করছে।
উত্তর বাগরী এলাকার বাহাদুর গাজী, মোজাম্মেল, ইসরাফিল খান, ইসমাইল খান, আ. মজিদ, আ. রউফ বলেন, আমরা প্রতি বছরের মতো চলতি মৌসুমে ইরি আবাদ করতে
পারিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধানসিঁড়ি নদী খননকাজের ঠিকাদার মাটি সরিয়ে না নেয়ায় সেচ সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।
পাহাড়ের মতো মাটি কেটে ফেলে রাখায় ওই এলাকার ছয়টি সংযোগ খাল ও পাঁচটি কালভার্টের মুখ বন্ধ হয়ে মাটির নিচে চাপা পড়েছে।
দ্রুত এ মাটি সরিয়ে খাল ও কালভার্টের মুখ চালু করতে না পারলে আমন মৌসুমেও চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না।
উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আ. ছালাম আকন বলেন, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকলে অতিবৃষ্টির কারণে পানি আটকে থেকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর এ কারণে বীজতলা বা রোপণকৃত ধান নষ্ট হতে পারে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ফয়সাল জানান, আমি বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে মাটি সরিয়ে সেচনালা ও সংযোগ খালগুলোর পানি চলাচল করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছি।
তবে খননের মাটিগুলো কিছু অংশ সরিয়ে ওয়াকআউট করা হবে।
একই সঙ্গে পাশে গাছ লাগানো হবে।