কল্যাণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, সিলেটে শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সিলেট

শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সিলেটের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পরিবহন শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

আজ মঙ্গলবার বিকালে এ সংঘর্ষে অনন্ত ১০ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়ি। কভিড-১৯ সংক্রমণের এই সময়ে লাঠিসোটা নিয়ে এই সংঘাতে জড়ায় শ্রমিকরা।

জানা যায়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও সিলেট সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিকের বিরুদ্ধে কল্যাণ তহবিলের দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি পক্ষ ক’দিন ধরেই বিক্ষোভ করে আসছিল। আজ সকাল থেকে দক্ষিণ সুরমার বাবনা এলাকার শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে তারা আবার বিক্ষোভ শুরু করেন। বিকালে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে কদমতলী বাস টার্মিনালের দিকে যাওয়ার সময় বাস টার্মিনাল এলাকায় এনা পরিবহনের কাউন্টারের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ফলিকের অফিস লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন কয়েকজন। এরপর সংষর্ঘে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষ।

আন্দোলনকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, ফলিকের অফিস থেকে তার ছেলে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এরপরই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকরা। এসময় এনা বাসের কাউন্টারসহ বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করে শ্রমিকরা।

সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ ও পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ঘটনাস্থল থেকে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুলল ফজল বলেন, পুলিশ সংঘর্ষ থামিয়েছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা টার্মিনাল এলাকায় অবস্থান করছে। তাদের বুঝিয়ে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। 

গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শ্রমিকদের কাছ থেকে আমিও এমন অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। 

ঘটনাস্থল থেকে সড়ক পরিবহন মালিক সমিাতি সিলেট জেলা শাখার সহ-সভাপতি আবুল কালাম বলেন, আমরা বিষয়টি সমঝোতা করে দেয়ার চেষ্টা করছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সিলেট সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন