বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করেছে, করোনাভাইরাস মহামারীর প্রথম বছরে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ আফ্রিকান নাগরিক এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এর মধ্যে দারিদ্র্যপীড়িত এ মহাদেশে মারা যেতে পারে ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার মানুষ। দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত ১ লাখেরও কম মানুষ আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।
ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মহাদেশটিতে কয়েক বছর ধরে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব থাকবে। সহায়তা কর্মীরা বলছেন, ভাইরাস সংক্রমণের দিকে প্রচুর দৃষ্টি দেয়ার কারণে অন্যান্য স্বাস্থ্য বিষয় এখানে অবহেলিত হচ্ছে।
আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে কভিড-১৯-এর কারণে অন্যান্য চিকিৎসা উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে। কয়েক লাখ শিশু পোলিও, হাম, হলুদ জ্বর ও অন্যান্য ভ্যাকসিন পায়নি। ফলে কঙ্গো তার পোলিওমুক্ত অবস্থান হারাতে পারে এবং দেশটিতে অন্যান্য মারাত্মক রোগের পুনরুত্থান হতে পারে। দেশটিতে ১৮ মে পর্যন্ত মাত্র ৪ হাজার ৪৯৩টি কভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে, যেখানে জনসংখ্যার ১ শতাংশকে পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে হলে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৬১৪টি পরীক্ষা দরকার।
আফ্রিকার আরেক দেশ কেনিয়ায় ১৮ মে পর্যন্ত কভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৮৫১টি, যেখানে জনসংখ্যার ১ শতাংশ ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭১৩ জন। দেশটিতে কভিড-১৯ আক্রান্তদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে প্রেরণ করা হচ্ছে এবং প্রতি রাতের জন্য তাদের ২০ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। এজন্য সবাই কভিড-১৯ পরীক্ষা ও হাসপাতাল এড়িয়ে চলছে।
আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় ১৮ মে পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৯৭০টি পরীক্ষা করা হয়েছে। অথচ হাসপাতালগুলোতে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে রোগীর সংখ্যা ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া ইথিওপিয়া, উগান্ডাসহ আফ্রিকার দেশগুলোতে কভিড-১৯-এর পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
বিবিসি