প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী প্রথম সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আগামী ১৫ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে।  তবে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চলমান পরিস্থিতিতে এ পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। আজ বৃহস্পতিবার ডিপিই মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বণিক বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চলমান  করোনা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে ভয়াবহ হয়ে উঠছে। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এ বন্ধ আরো বাড়তেও পারে। আর যদি ১৫ এপ্রিল বিদ্যালয় খোলেও ওই দিনেই পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব নয়। কারণ পরীক্ষার যে সিলেবাস, সেটি এখনও শেষ হয়নি। এছাড়া পরীক্ষার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কেউই প্রস্তুত নয়। 

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর সিলেবাসের আকার ছোট করে এনে পরবর্তী সময়ে এ পরীক্ষা নেয়া হবে।’

প্রতি বছরের শুরুতেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। সেখানে ছুটি, ক্লাস রুটিন ও  পরীক্ষার সূচী নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে সে শিক্ষাপঞ্জি এখন বেশ এলোমেলো। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে হত ১৬ মার্চ থেকে দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের  বন্ধ হয়ে যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও। এতে করে স্থবির হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান  কার্যক্রম। 

তবে গত মঙ্গলবার থেকে ‘ঘরে বসে শিখি’ শীর্ষক কর্মসূচীর মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান সম্প্রচার শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৭ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ‘ঘরে বসে শিখি’র ক্লাস রুটিন প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। 

প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকের ক্লাস প্রচার হবে। প্রতিদিন একেকটি শ্রেণির জন্য একটি করে বিষয়ের পাঠদান প্রচার হবে। প্রতি ক্লাসের সময়সীমা ২০ মিনিট।

ডিপিই প্রকাশিত রুটিন সংবলিত নোটিসে বলা হয়েছে, টেলিভিশনে পাঠদানকারী শিক্ষক শ্রেণিপাঠ শেষে পাঠদানকৃত বিষয়ে বাড়ির কাজ দেবেন। শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক বিষয়ের জন্য আলাদা খাতায় তারিখ অনুযায়ী বাড়ির কাজ সম্পন্ন করবে ও বিদ্যালয় খোলার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নিকট জমা দেবে।

এ প্রসঙ্গে মো. ফসিউল্লাহ‌ বলেন, ‘টেলিভিশনের বাইরেও বিভিন্ন মাধ্যমে পাঠদানের রেকর্ড প্রক্শা করা হবে। টেলিভিশনে পাঠদানের পর শিক্ষকরা কোন কোন মাধ্যমে এটি পাওয়া যাবে, সেটি জানিয়ে দেবেন। প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেখার আহবান করছি। পাশাপাশি প্রাথমিকের সব শিক্ষককে এসব পাঠদান দেখার অনুরোধ করছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন