শেয়ারবাজারে গেল সপ্তাহে প্রকাশিত

লভ্যাংশ ও আর্থিক ফলাফল

ডিবিএইচ
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফিন্যান্স করপোরেশন লিমিটেডের (ডিবিএইচ) পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নগদ ও বাকি ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আগামী ২৯ মার্চ বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশান-২-এ অবস্থিত ডেল্টা লাইফ টাওয়ারের কনফারেন্স হলে কোম্পানির ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ মার্চ।

সমাপ্ত হিসাব বছরে ডিবিএইচের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৭ টাকা ৮২ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৩৬ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৪১ টাকা ৩৬ পয়সা।

রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। আগামী ৩১ মার্চ বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশান-২-এ অবস্থিত লেকশোর হোটেলে কোম্পানিটির এজিএম আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ মার্চ।

সমাপ্ত হিসাব বছরে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের নিট মুনাফা হয়েছে ৫৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৫৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ৭৪ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৬০ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৫৫ টাকা ২৯ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।

লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে লিন্ডে বিডির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮০ টাকা ৯৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬৫ টাকা ৯৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৩৫ টাকা ৭০ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৯৩ টাকা ৯০ পয়সা।

আগামী ২৩ এপ্রিল কোম্পানিটির এজিএম আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ মার্চ। কোম্পানিটি এজিএমের সময় ও স্থান পরে জানাবে।

আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেড
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে আইডিএলসি ফিন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত নিট মুনাফা হয়েছে ১৬৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৫১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ টাকা ৭৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ১৮ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৬ টাকা ১৭ পয়সা।

আগামী ৩০ মার্চ সকাল ১০টায় রাজধানীর এয়ারপোর্ট রোডে অবস্থিত হোটেল র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের উৎসব হলে কোম্পানিটির ৩৫তম এজিএম আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ মার্চ।

ইউনাইটেড ফিন্যান্স লিমিটেড
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে ইউনাইটেড ফিন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ২৪ কোটি ৪৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৭ কোটি ৬৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৪৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৯৮ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৬ টাকা ৬৭ পয়সা।

আগামী ২৩ এপ্রিল সকাল ১০টায় রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডে অবস্থিত ঢাকা লেডিস ক্লাবে ইউনাইটেড ফিন্যান্সের ৩১তম এজিএম আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ মার্চ।

আসন্ন পর্ষদ সভা
গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশ লিমিটেড
জিএসকে বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) জিএসকে বাংলাদেশের ইপিএস হয়েছে ৪৩ টাকা ৩৯ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৩৩ টাকা ৫০ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ২১ টাকা ১৪ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৪৮ টাকা ৬৪ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৯৩ টাকা ৭১ পয়সা।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে জিএসকে বাংলাদেশ। ২০১৭ হিসাব বছরে ৫৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। এছাড়া ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ৫০০ শতাংশ ও ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ৫৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

ঋণমান

ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডায়িং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড
ফার ইস্ট নিটিংয়ের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ মাইনাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত ও গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ফার ইস্ট নিটিং। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও বাকি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২০ টাকা ৪৮ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২১ টাকা ৪৫ পয়সা।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ফার ইস্ট নিটিংয়ের ইপিএস হয়েছে ১২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬০ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইপিএস হয়েছে ২১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১৫ পয়সা।

ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত ও গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ হালনাগাদ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ২৫ শতাংশ ও ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় তারা। এছাড়া ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ১৮ শতাংশ ও ২০১৪ হিসাব বছরের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

শেয়ারের ক্যাটাগরি পরিবর্তন
কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করায় কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারকে ‘এন’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করেছে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডাদের ৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১১ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ২ টাকা ৬০ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১২ টাকা ১৮ পয়সা, যা আগের হিসাব বছর শেষে ছিল ১২ টাকা ৬ পয়সা।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ইপিএস হয়েছে ৩১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৮ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৪৫ পয়সা।

বিএসইসির কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত

এলবি গ্র্যাচুইটি অপরচুনিটিজ ফান্ডের খসড়া প্রসপেক্টাস অনুমোদন
বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড এলবি গ্র্যাচুইটি অপরচুনিটিজ ফান্ডের খসড়া প্রসপেক্টাস অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ৭১৯তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

ফান্ডটির উদ্যোক্তা লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড এমপ্লয়িজ গ্র্যাচুইটি ফান্ড ট্রাস্ট। সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করবে লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড। ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান হিসেবে কাজ করছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ লিমিটেড (আইসিবি)।

বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডটির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তার অংশ ৩ কোটি টাকা। বাকি ১৭ কোটি টাকা সব ধরনের বিনিয়োগকারীর কাছে ইউনিট বিক্রির মাধ্যমে উত্তোলন করা হবে।

এএফসি এগ্রো বায়োটেকের বন্ড অনুমোদন
এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেডের ১০০ কোটি টাকার মেয়াদি বন্ড ইস্যুর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, নন-কনভার্টিবল, আনসিকিউরড, আনলিস্টেড ও জিরো কুপন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। বন্ডটি পাঁচ বছরে পূর্ণ অবসায়ন হবে। বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীর কাছে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এ বন্ড ইস্যু করা হবে।

বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ উত্তোলন করে এএফসি এগ্রো বায়োটেক তাদের চলতি মূলধনের জোগান দেবে ও ব্যাংকঋণ পরিশোধ করবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। এর ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছে সিএপিএম অ্যাডভাইজরি লিমিটেড।

ডিএসই ও সিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালকের নিয়োগ অনুমোদন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পরিচালনা পর্ষদে নতুন ১৩ জন স্বতন্ত্র পরিচালকের নিয়োগ অনুমোদন করেছে বিএসইসি। এর মধ্যে ডিএসইতে ছয়জন আর সিএসইতে সাতজনকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

বিএসইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ডিএসই কর্তৃক প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন ও সিএসই থেকে প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুমোদন পাওয়া স্বতন্ত্র পরিচালকদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিও অনুমোদন
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২৬ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। বিএসইসির ৭১৯তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

আইপিওর মাধ্যমে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করবে। এ অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের পাশাপাশি আইপিওর ব্যয় নির্বাহ করবে।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৮ টাকা ৭২ পয়সা, পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া যা ১৬ টাকা ৬৫ পয়সা। গত পাঁচ হিসাব বছরের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১ টাকা ৪২ পয়সা।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ট্রিপল এ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড ও বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।

এদিকে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিওর ক্ষেত্রে বিএসইসি পাবলিক ইস্যু বিধিমালা, ২০১৫ বিধি ৩(৩)(সি)-এর বিধানগুলো পরিপালনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। একই সঙ্গে আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত মূলধনের ন্যূনতম ২০ শতাংশ অর্থ ‘বীমা (নন-লাইফ বীমকারীর সম্পদ বিনিয়োগ ও সংরক্ষণ) প্রবিধানমালা, ২০১৯’-এর বিধানগুলো পরিপালন-সাপেক্ষে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের শর্ত আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

এছাড়া কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের সাধারণ শেয়ার কেনার জন্য ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রত্যেক যোগ্য বিনিয়োগকারীকে সাবস্ক্রিপশন শুরুর দিন থেকে পূর্ববর্তী পঞ্চম কার্যদিবস শেষে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজারমূল্যে ন্যূনতম ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।

কোম্পানির মূলধন ও ব্যবসা পরিকল্পনা
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড

স্কয়ার লাইফসায়েন্সেস লিমিটেড নামে একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করবে ওষুধ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, যেখানে তাদের প্রায় শতভাগ মালিকানা থাকবে। নতুন কোম্পানিটি ওরাল সলিড ডোজেজ প্রডাক্ট (ট্যাবলেট, ক্যাপসুল) উৎপাদন করবে।

প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের নিজস্ব তহবিল ও স্কয়ার লাইফসায়েন্সেসের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের মাধ্যমে এ ব্যয় নির্বাহ করা হবে। ২০২৩ সালের জুন নাগাদ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কোম্পানিটির কর্মকর্তারা জানান, ট্যাবলেট ও ক্যাপসুলজাতীয় ওষুধের বাজার ক্রমবর্ধমান। এসব পণ্যের বর্ধিত চাহিদা মেটানোর জন্য কোম্পানির উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ লক্ষ্যেই নতুন সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটি গঠন করা হবে, যার পরিশোধিত মূলধন হবে ১০ কোটি টাকা।

এমএল ডায়িং লিমিটেড
ভারতীয় কোম্পানির কাছে ৫০ লাখ পাউন্ড ডায়েড ইয়ার্ন রফতানি করবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি এমএল ডায়িং। কোম্পানিটি কয়েক দফায় বিদ্যমান বাজারমূল্যে কলকাতার এএমজে ন্যারো ফ্যাব্রিকস প্রাইভেট লিমিটেডের কাছে এ পরিমাণ ইয়ার্ন রফতানি করবে। এ বিষয়ে কোম্পানি দুটির মধ্যে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে।

কোম্পানিটির কর্মকর্তারা জানান, কলকাতার এএমজে ন্যারো ফ্যাব্রিকসের কাছে ৫০ লাখ ডায়েড ইয়ার্ন বিক্রির বিষয়ে সম্প্রতি চুক্তি সই হয়েছে। এ ইয়ার্ন রফতানির মাধ্যমে কোম্পানিটির মুনাফা অনেকটাই বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এএমজে ন্যারো ফ্যাব্রিকস একবারে সম্পূর্ণ ইয়ার্ন নেবে না। বিভিন্ন দফায় নেবে। এক্ষেত্রে দাম নির্ধারণ হবে ওই সময়ের বাজারদর অনুযায়ী।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন