বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে দুদক কর্মকর্তাদের
দুর্নীতিমুক্ত থাকতে এবং দুর্নীতি দমনে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন দুদক
চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন,
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্নীতিমুক্ত
বাংলাদেশ বিনির্মাণে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর
আদর্শকে লালন ও ধারণ করতে পারলেই দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে। গতকাল
দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণে এক আলোচনা সভায় দুদক
চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলনে যারা শহীদ
হয়েছেন এবং যারা এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। একই
সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ভাষার জন্য বা স্বাধীনতার
জন্য কেন এত প্রাণ বিসর্জন হলো?
আসলে এটা ছিল প্রতিবাদ। প্রতিবাদকে হত্যার মাধ্যমে দমন করার
চেষ্টার কারণেই এত প্রাণ দিতে হয়েছে আমাদের। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শেখায়। এগুলো আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।
তিনি আরো বলেন, শহীদদের রক্তদান আমাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করার
শিক্ষা দেয়। আপনাদের দায়িত্ব হবে নিজ নিজ দপ্তরের অন্যায়কে প্রতিহত করা। আপনারা সম্পূর্ণ নির্মোহভাবে জ্ঞান-বুদ্ধি বিবেচনা করে তদন্ত প্রতিবেদন দেবেন। মনে রাখবেন, অপরাধ দমনে বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত প্রতিবেদন প্রণয়ন করা সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ। নিজের বিবেক, আইনি যুক্তি-প্রতিযুক্তির মাধ্যমে তদন্তে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করবেন। তাহলেই সবার প্রতি
ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
দুদক কমিশনার ড. মো.
মোজাম্মেল হক খান বলেন, যখন শুনি কোনো কোনো বাঙালি পিতা-মাতা গর্ব করে বলেন, ‘আমাদের সন্তান ইংরেজিতেই
কথা বলে, ভালো বাংলা বলতে জানে না।’ এটা খুবই দুঃখজনক। আমাদের চিকিত্সকরা যদি ব্যবস্থাপত্রটি বাংলায় লেখেন, তাহলে সামান্য
অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন মানুষকে ব্যবস্থাপত্র বুঝতে অন্যের দ্বারস্থ হতে হয় না। তাই
আমাদের শুদ্ধ বাংলার চর্চা করতে হবে।
দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম বলেন, কথন, নাটক, চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন
মাধ্যমে বাংলা ভাষার বিকৃতি দেখে আমরা বিস্মিত হই। আঞ্চলিক ভাষা বা বিকৃত ভাষা থাকবে
কিন্তু তা মুখ্য ভাষা হতে পারে না।
দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত ভাষাশহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা
জানিয়ে বলেন, তাদের এ মহান আত্মত্যাগের তাত্পর্য আমাদের হূদয়ে ধারণ করতে হবে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন
দুদকের তদন্ত অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো.
জাকির হোসেন,
দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখার পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের
পরিচালক মো. আকতার হোসেন, উপপরিচালক এএসএম সাজ্জাদ হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।