সংগঠনের সমালোচনা করায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ, মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় ফোরামের ১৬ নেতাকে বহিষ্কার করছে দলটি। আর এই বহিষ্কারের প্রতিবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী।
গতকাল এক বিবৃতিতে শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, একটি বিপ্লবী দল গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা ও অঙ্গীকার ব্যক্ত করে ২০১৩ সালে বাসদ (মার্ক্সবাদী) গড়ে উঠেছিল। কিন্তু মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ ও শিবদাস ঘোষের চিন্তাধারার ভিত্তিতে দল গড়ে তোলার ঘোষিত নীতি অনুসরণ না করে দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ও তার অনুসারীদের আদর্শ-পরিপন্থী কর্মকাণ্ড দলকে গভীর সংকটের মুখে ঠেলে দেয়। এ পরিস্থিতিতে ১৬ জন নেতা বর্তমান কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটি বিলুপ্ত করে অতীত সংগ্রামের পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে নতুন পার্টি-প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এ নেতাদের আন্তরিক ও যৌক্তিক আহ্বান বিবেচনায় না নিয়ে তাদের উপলব্ধিজাত মতামতকে দলবিরোধী তত্পরতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং দলের অভ্যন্তরে মতাদর্শিক সংগ্রাম পরিচালনার সুযোগ রুদ্ধ করে দিয়ে সম্পূর্ণ স্বৈরতান্ত্রিক পন্থায় এ ১৬ জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি এ বহিষ্কারদেশ প্রত্যাখ্যান করে দল গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৬ নেতার উদ্যোগের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বাম রাজনীতির তাত্ত্বিক শিবদাস ঘোষকে কমিউনিস্ট আন্দোলনের আন্তর্জাতিক অথরিটি হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়াসহ বেশকিছু কারণ দেখিয়ে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) থেকে মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ও শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী বের হয়ে নতুন দল বাসদ (মার্ক্সবাদী) গঠন করে। এতে দুভাগে বিভক্ত হয় বাসদ (খালেকুজ্জামান) ও বাসদ মার্ক্সবাদী (মবিনুল-শুভ্রাংশু)। বাসদ মার্ক্সবাদীর ১৬ নেতাকে বহিষ্কারের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীকেও কারণ দর্শানো নোটিস দেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ দলের সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীকে ঘিরে সমর্থকদের মধ্যেও বিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।