ন্যাশনাল পলিমারের ইপিএস বেড়েছে ১০৫%

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি ২০১৯-২০ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল পলিমারের শেয়ারপ্রতি আয়ে (ইপিএস) বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৬৬ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৩০ পয়সা। আর চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৬ পয়সা।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ন্যাশনাল পলিমার। এছাড়া ২০ টাকা দরে ১আর: ১ অনুপাতে (বিদ্যমান প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে একটি) রাইট শেয়ার ইস্যুরও সুপারিশ করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। এক্ষেত্রে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের পাশাপাশি প্রিমিয়াম ধরা হয় ১০ টাকা। তবে ইজিএমে কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা ১০ টাকার পরিবর্তে ৫ টাকা প্রিমিয়াম ধরে রাইট শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেন। এ হিসাবে প্রতিটি রাইট শেয়ারের দাম হবে ১৫ টাকা। বোনাস শেয়ার শেয়ারহোল্ডারদের বিও অ্যাকাউন্টে যোগ হওয়ার পরই রাইট শেয়ার ইস্যু করা হবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে রাইট শেয়ার ইস্যুর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ২২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ন্যাশনাল পলিমার। সে বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৩ টাকা ২৪ পয়সা। তার আগে ২০১৭ ও ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ২০ শতাংশ হারে স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল ন্যাশনাল পলিমার শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৬৩ টাকা ১০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৫৩ টাকা ৩০ পয়সা ও ১৩৩ টাকা ৯০ পয়সা।

১৯৯৩ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪৩ দশমিক ১১ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও সর্বশেষ বাজারদরের ভিত্তিতে ন্যাশনাল পলিমার শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ১৮ দশমিক শূন্য ২, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত মুনাফার ভিত্তিতে যা ১১ দশমিক ৮২।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন