রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে
মিয়ানমার সরকারকে অন্তর্বর্তীকালীন চারটি নির্দেশনা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার
আদালত (আইসিজে)। দেশটির
বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে
অবস্থিত আদালতটি এসব নির্দেশনা দেন। এর
প্রতিক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় আগে থেকেই এসব পদক্ষেপ নিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন
দেশটির শাসক শ্রেণীর মুখপাত্র মায়ো নিয়ন্ত। খবর রয়টার্স।
আইসিজের নির্দেশনায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে
সংঘটিত গণহত্যা বন্ধ ও এসব নৃশংসতার আলামত সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। এ সম্পর্কে
ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির মুখপাত্র বলেন,
আইসিজে যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন, সেগুলোর
অধিকাংশই আমাদের সরকার পালন করে আসছে। তবে আদালতের নির্দেশনার মধ্যে প্রতিবেদন
পেশ আমরা করিনি। প্রসঙ্গত, আইসিজে দেশটিকে রোহিঙ্গাদের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে
নিয়মিত প্রতিবেদন দিতে বলেছে।
এদিকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে অং সান সু
চির পার্টি যৌথভাবে দেশটির সরকার পরিচালনা করছে। সরকারের ক্ষমতার সিংহভাগই
সেনাবাহিনীর আওতায়। এ অবস্থায় বর্মি সেনাবাহিনীর লাগাম কতটা টেনে ধরা যাবে, তা
নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন নিয়ন্ত।
এ পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশনা
অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ওপর সেনা নৃশংসতা বন্ধে দেশটি কতটা সফল হবে, তা
নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ সম্পর্কে নিয়ন্ত বলেন, আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার
কারণে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে,
সেগুলোর কোনো কোনোটি পালন করা কঠিন হবে।