নতুন প্রজন্মের কাছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনও তুলে ধরতে হবে। কেননা এ দুই নেতার আদর্শিক ঐক্য ও সংগ্রামী জীবনে অসম্ভব মিল রয়েছে।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ‘বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে নেতাজি ও বঙ্গবন্ধু’
শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ও ভারতের বিশিষ্ট গবেষক ও নেতাজি বিশেষজ্ঞরা। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকার অনলাইন গণমাধ্যম বহুমাত্রিক ডটকম।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু। বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নেতাজি জন্মোৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে নির্বাচিত বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন বিশিষ্ট নেতাজি বিশেষজ্ঞ ও কলকাতার আলিপুর বার্তার সম্পাদক ড. জয়ন্ত চৌধুরী, ভারতীয় সংগঠন ফোরাম ফর ইউনিটি অ্যান্ড ন্যাশনালিজমের মুখপাত্র এবং লেখক ও ক্রীড়াবিদ সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জি, নেতাজি গবেষক ও ভিশন২৪ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী অজয় চক্রবর্তী, সেন্টার ফর বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া রিলেশনসের সমন্বয়ক শুভাশীষ সমদ্দার প্রমুখ। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নেতাজি জন্মোৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বহুমাত্রিক ডটকমের প্রধান সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।
আলোচকরা বলেন, অখণ্ড ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রসেনানী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ও স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক ঐক্য ও সংগ্রামী জীবনে অসম্ভব মিল রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ক্রমেই ভুলতে বসা দুই নেতার ঐতিহাসিক সম্পর্কের পরম্পরা নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে শেকড়সন্ধানী আলোচনার আয়োজন করে আসছে বহুমাত্রিক ডটকম।
সেমিনারে ‘মুক্তিপথের অগ্রদূত নেতাজি সুভাষ’
শীর্ষক বিশেষ সংকলন গ্রন্থের পাঠোন্মোচন করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে শেষে ‘মুক্তির গান’
শীর্ষক সংগীতায়োজনে গান পরিবেশ করেন নার্গিস তানজিমা ও অজয় চক্রবর্তী। সেমিনার আয়োজনে সহযোগী ছিল ভারতীয় সংগঠন ফোরাম ফর ইউনিটি অ্যান্ড ন্যাশনালিজম ও সেন্টার ফর বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া রিলেশনস। এতে গণমাধ্যম সহযোগী ছিল কলকাতার আলিপুর বার্তা ও ভিশন২৪ইন্ডিয়া।
