বাগেরহাট সদরের কিসমতভট্ট গ্রামের দুই ভাই বিজন ও পঙ্কজ দেবনাথের বাড়ির সামনে গত রোববার হঠাৎই গাড়ি নিয়ে হাজির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম। কিন্তু বাড়িতে তখন দুই ভাই অনুপস্থিত। পরে খোঁজ নিয়ে অদূরে চুলকাঠি বাজারে গিয়ে দুই ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয় তার। সেখানেই তিনি তাদের হাতে তুলে দেন জমি অধিগ্রহণ বাবদ প্রায় ১০ লাখ টাকার দুটি চেক।
প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প খুলনা ও মোংলা রেললাইন এবং খানজাহান আলী বিমানবন্দরের জমি অধিগ্রহণের টাকার চেক জমির মালিকদের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার লক্ষ্যে ঘরে ঘরে সেবা পৌঁছে দিতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা গত রোববার ৩৪ জন জমির মালিকের বাড়ি গিয়ে ৮৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেছি।
বিজন ও পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এখানে আসবেন ভাবতেও পারিনি। আমরা অনেকবার জমি অধিগ্রহণ শাখায় গিয়ে চেক পাইনি। অথচ তিনি নিজে এসে আমাদের খুঁজে বের করে চেক দিয়ে গেছেন। আমরা খুশি হয়েছি।
একইভাবে খানজাহান আলী বিমানবন্দরের অধিগ্রহণকৃত জমির জন্য টাকা পেয়ে খুশি হয়েছেন রামপাল উপজেলার উজলকুড় গ্রামের মমতাজ বেগম। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের গাড়ি দেখে এগিয়ে গেলাম। জানতে পারলাম জমির টাকার চেক দেয়া হচ্ছে। পরে তাদের কাছ থেকে দুটি চেক পেলাম। এভাবে চেক পাব কখনো ভাবিওনি। এলাকাবাসী জেলা প্রশাসনের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগে খুশি।