মন্দা সময়ে ফিলিপাইনের চিনি শিল্প

বণিক বার্তা ডেস্ক

অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির চাহিদা বাড়ছে। এর বিপরীতে কমে আসছে উৎপাদন। বিরূপ আবহাওয়ার সঙ্গে বাড়ছে আখ চাষাবাদের জন্য শ্রমিক সংকট। আমদানি বৃদ্ধির ফলে বাড়ছে দেশীয় চিনির দামও। সব মিলিয়ে খারাপ সময় পার করছে ফিলিপাইনের চিনি শিল্প। বৈশ্বিক বাজারবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফিচ সলিউশন ম্যাক্রো রিসার্চের সাম্প্রতিক প্রাক্কলন প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ফিচ সলিউশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ উৎপাদন মৌসুমে ফিলিপাইনে ২১ লাখ টন চিনি উৎপাদন হতে পারে। যেখানে এর আগের প্রাক্কলনে উৎপাদন ২২ লাখ টন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। সে হিসাবে উৎপাদন কমতে পারে শতাংশ।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রতিবেদনে বলছে, ফিলিপাইনে শ্রমিক সংকট বাড়ছে। ফলে আখ আবাদ ধীরে ধীরে কমছে। এছাড়া সাম্প্রতিক মাসগুলোয় দেশটির বিরূপ আবহাওয়ায় এবার আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা পরোক্ষভাবে চিনির উৎপাদন কমিয়ে দেবে। অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ বাজারে দেশীয় চিনির চেয়ে কম দামে আমদানীকৃত চিনির সরবরাহ বাড়ায় খাত দীর্ঘমেয়াদি সংকটে পড়তে পারে।

একই কারণে চলতি মৌসুমে ফিলিপাইনের অপরিশোধিত চিনির উৎপাদনও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সময় দেশটির অপরিশোধিত চিনির উৎপাদন গত মৌসুমের তুলনায় শতাংশ কমে ২০ লাখ ৯৬ হাজার টনে দাঁড়াতে পারে।

তবে মৌসুমে চিনির উৎপাদন কমে গেলেও দেশটির অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বাড়বে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রাক্কলন প্রতিবেদন অনুযায়ী, সময়ে খাতসংশ্লিষ্ট শিল্প বা উৎপাদন খাত এবং কোমল পানীয় উৎপাদনে ব্যবহূত হাই-ফ্রুকটোস কর্ন সিরাপে (এইচএফসিএস) শুল্ক আরোপ করায় এখন এটির বিকল্প হিসেবে চিনির ব্যবহার বাড়ছে।

গত বছরের জানুয়ারি থেকে এইচএফসিএসের ওপর শুল্ক আরোপ আইন কার্যকর হয়। সে অনুযায়ী, এইচএফসিএস ব্যবহার করে তৈরি প্রতি লিটার কোমল পানীয়তে ১২ পেসো (স্থানীয় মুদ্রা) শুল্ক আরোপ করে সরকার। এর বিপরীতে চিনি দিয়ে তৈরি কোমল পানীয়তে শুল্ক আরোপ করা হয় পেসো। এতে তখন থেকেই খাতে চিনির ব্যবহার বাড়ছে।

দেশটির সুগার রেগুলেটরি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এসআরএ) তথ্য উল্লেখ করে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ফিলিপাইন এখনো উৎপাদনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চিনির চাহিদা পূরণে সক্ষম। এসআরএর তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে উৎপাদিত চিনির ৯৫ শতাংশই অভ্যন্তরীণ

কোমল পানীয়সহ অন্যান্য শিল্প খাতে ব্যবহার হয়ে থাকে।

তবে উৎপাদন আন্তর্জাতিক দামের তুলনায় দেশীয় বাজারে চিনির দাম বেশি থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি অব্যাহত রাখবে ফিলিপাইন। উৎপাদিত চিনির শতাংশ বা লাখ ৪০ হাজার টন চিনি প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানি করে দেশটি।

অন্যদিকে ফিচ সলিউশন মনে করছে, আগামী বছরও আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় ফিলিপাইনের চিনির দাম বেশি থাকবে। সময় প্রতি পাউন্ড চিনির দাম ১৩ ডলার সেন্ট থাকবে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র: বিজনেস ওয়ার্ল্ড।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন