ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২০ সালে ফাইভজি জগতে পা দেবে বাংলাদেশ। এটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে গতকাল ডিজিটাল ও সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক সাত সদস্যের এক মার্কিন বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নুর-উর-রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মোহসিনুল আলম, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাইবার বিশেষজ্ঞ জন পিলেটিস, লিসা জি, ড্যানিয়েল লারসনসহ দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা গতকালের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, ফাইভজিকে শুধু কথা বলা বা ব্রাউজ করার প্রযুক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে না, এটিকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল শিল্পবিপ্লবের মহাসড়ক। ফাইভজি শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে অভাবনীয় ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, ফাইভজির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। ফাইভজি সম্প্রসারণে এরই মধ্যে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এটি ২০২৬ সালের মধ্যে সারা দেশে সম্প্রসারণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১৬, ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি ডিজিটাল মেলায় সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে ফাইভজি লাইভ দেখানো হবে। এর আগে ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভজি দেখানো হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জানান, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে এ ধরনের আলোচনা এটিই প্রথম। ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানিগুলো পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যে অনেক সময় আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে, সে বিষয়টি তাদের অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টিকে তারাও গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে গুজব রটানো হয়, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটানো হয়। এ-সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিয়ে আগামীতে সরকার ও কোম্পানি পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে।