ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সমাপনী দরের ভিত্তিতে দরবৃদ্ধিতে শীর্ষে ছিল জাহিন স্পিনিং মিলস লিমিটেড। গতকাল শেয়ারটির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এদিন শেয়ারটির সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১০ টাকা ১০ পয়সা। আগের দিন শেয়ারটির সমাপনী দর ছিল ৯ টাকা ২০ পয়সা।
গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে। এদিন ৮১২ বারে কোম্পানিটির মোট ২৩ লাখ ৭৩ হাজার ১২৩টি শেয়ার লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৪ টাকা ৯০ পয়সা ও ১৩ টাকা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে জাহিন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৬ পয়সা। এ হিসাবে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ৪৩ পয়সা বা ৪০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮১ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১২ টাকা ১৮ পয়সা। ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় রাজধানীর ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে অবস্থিত সুগন্ধা কমিউনিটি সেন্টারে কোম্পানিটির ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ২৪ নভেম্বর।
সর্বশেষ সার্ভিল্যান্স এনটিটি রেটিং অনুসারে জাহিন স্পিনিংয়ের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল বি ওয়ান’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-থ্রি’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক ফলাফল ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করেছে ডব্লিউএএসও ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি (বিডি) লিমিটেড (ডব্লিউসিআরসিএল)।
২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে জাহিন স্পিনিং। এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। সে বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩৯ পয়সা। এছাড়া ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৮ মাসে সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্যও ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পান কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা। এ সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা।
২০১৫ সালে তালিকাভুক্ত জাহিন স্পিনিংয়ের অনুমোদিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১০৮ কোটি ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৩ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারে ১০ কোটি ৮৪ লাখ ৭ হাজার ৯৭০টি। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৪২ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৯ দশমিক ৫৩, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ২৫ দশমিক ২৫।