নির্মাণ শিল্প ও অটোমোটিভ খাতে তেজীভাবের জেরে ২০২৪ সাল নাগাদ ইন্দোনেশিয়ায় ইস্পাতের চাহিদা ৫০ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ২ কোটি ২৭ লাখ টনে পৌঁছবে। ২০১৮ সালে দেশটিতে ধাতুটির চাহিদা ছিল ১ কোটি ৫১ লাখ টন। ইন্দোনেশিয়ান আইরোন অ্যান্ড স্টিল ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্লাটস।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এ সময় দেশটির নির্মাণ খাতে ধাতুটির চাহিদা সর্বাধিক বাড়বে। ৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ভিত্তিতে ইস্পাতের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়তে পারে ৭ শতাংশ।
দেশটির কো-অর্ডিনেটিং মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছর ইন্দোনেশিয়ার নির্মাণ শিল্পে প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। এ সময় দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৩ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) দেশটিতে লং স্টিল প্রডাক্টের চাহিদা আগের বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ২৯ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে দেশটির অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ১১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ টনে। এদিকে বাড়তি উৎপাদনের জেরে এ সময় দেশটিতে পণ্যটির আমদানি কমেছে।
বছরের প্রথমার্ধে ইন্দোনেশিয়া সব মিলিয়ে ১০ লাখ টন ইস্পাত আমদানি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কম। এছাড়া অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ায় একই সময় দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি দ্বিগুণ কমে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৭ টনে নেমেছে।