মেঘনা গুলজার, দীপিকা পাড়ুকোন ও ফক্স স্টার স্টুডিওর যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবি ছপাক মুক্তি পাবে আগামী ১০ জানুয়ারি
অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন বিশ্বাস করেন, চলচ্চিত্র শক্তিশালী মাধ্যম। তার মতে, সমাজে এর প্রভাবকে কেউই অস্বীকার করতে পারে না। এমন এক সময় দীপিকা এ বিষয়ে সরব হলেন, যখন জনপ্রিয় সংস্কৃতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেক দিন ধরেই এ বিতর্ক চলমান যে, বলিউডের ছবি ও গানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে উপস্থাপনার ঘাটতি রয়েছে।
চলচ্চিত্রের প্রভাব নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সম্প্রতি এ অভিনেত্রী বলেছেন, ‘আমি
সবার কথা বলতে পারব না। কিন্তু আপনারা কখনই বিষয়টি অস্বীকার করতে পারবেন না যে তরুণদের মধ্যে ও সমাজে চলচ্চিত্রের প্রভাব আছে। এমনকি আমরা যেভাবে পোশাক পরি, যেভাবে ভাবি, তাও প্রত্যক্ষভাবে অনুসরণ করে অনেকে।’
ছপাক ছবির ট্রেইলার উন্মোচন অনুষ্ঠানে অবশ্য এ অভিনেত্রী এও বলেছেন, বিষয়টি বুঝতে তারও নাকি অনেক লম্বা সময় লেগেছে। ‘আমি দাবি করছি না যে বিষয়টি আমি ক্যারিয়ারের শুরুতেই অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছি। আমি মূলত এর মধ্যে বেড়ে উঠতে উঠতে শিখেছি এবং অনেক দিন পর বুঝতে সক্ষম হয়েছি।’
শুধু দীপিকা একা নন, একই সুরে কথা বলেছেন এ ছবির আরেক তারকা বিক্রান্ত মেসি। তিনি জানিয়েছেন, সমাজে সিনেমার ভূমিকা আছে। তবে শুধু নির্মাতা নয়, সমাজের প্রতি যৌথ দায়িত্ব পালনে জনগণকেও একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
দীপিকা ছপাক ছবিতে একজন অ্যাসিডদগ্ধ নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে অ্যাসিড আক্রান্ত নারী ও সমাজকর্মী লক্ষ্মী আগারওয়ালকে অনুপ্রেরণা হিসেবে ধরে। ছবিটির নির্মাতা মেঘনা গুলজারও দীপিকা ও বিক্রান্ত মেসিকে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সিনেমার
রয়েছে অত্যন্ত সমালোচনামূলক ভূমিকা। কারণ এটি অনুপ্রেরণা ও প্রভাবিত করতে পারে।’
মেঘনা গুলজার, দীপিকা পাড়ুকোন ও ফক্স স্টার স্টুডিওর যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছপাক মুক্তি পাবে আগামী ১০ জানুয়ারি। এর আগে গত মঙ্গলবার ছপাকের ট্রেইলার প্রকাশিত হয়।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস