নওগাঁয় তিনদিনব্যপী জাতীয় নজরুল সম্মেলন শুরু

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, নওগাঁ

নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় নজরুল সম্মেলন। আজ রবিবার সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। উদ্বোধনকালে মন্ত্রী বলেন, ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম লেখাপড়া কম জানলেও তার বিদ্রোহী কলমে সারা বিশ্বকে কাঁপিয়ে তুলেছিলেন। আমরা চাই, আমাদের নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল লেখাপড়ার পাশাপাশি তাদের জ্ঞান গরিমা এবং মা বাবার আদি সামাজিক চর্চা এবং বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামকে অনুসরণ করে।’ তিনি নতুন এই প্রজন্মকে কবির মতো করে ত্যাগ তিথিক্ষার মধ্য দিয়ে গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নজরুল ইনস্টিটিউটের আয়োজনে জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও বর্তমানে রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নাটোর-এর প্রফেসর ও ডিন ড. সাইফুদ্দীন চৌধুরী ও নওগাঁ’র ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. রাশিদুল হক।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগ্রহ, অনুপ্রেরণা এবং উদ্যোগে বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে আনা সম্ভব হয়েছিল। তারই সদিচ্ছায় কবিকে জাতীয় কবির মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ কবিকে স্বাগত জানিয়েছেন, ভালোবেসেছেন। আজও কবির সৃষ্টিশীলতা আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির সমৃদ্ধি সৌকর্যের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আছে।’

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন নজরুল গবেষক ও এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন বিভাগী প্রধান ড. সৈয়দা মোতাহের বানু। তার আলোচনার বিষয় ছিল সামজ বিনির্মাণে নজরুল সাহিত্য। এ ছাড়াও এ অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নাটোরের রেজিস্ট্রার কে এম আব্দুল মোমিন এবং নওগাঁ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শরিফুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি নজরুল ইনষ্টিটিউটের সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। 

তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে রয়েছে জেলার ৫০ জন শিল্পীকে নজরুল সংগীতের শুদ্ধ বাণী ও সুরে নজরুল সংগীতের প্রশিক্ষক সৃজনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান, জাতীয় ও স্থানীয় শিল্পীদের সমন্বয়ে সংগীতানুষ্ঠান ও নৃত্যানুষ্ঠান, শহরের নওগাঁ সরকারি কলেজ ও নওগাঁ সরকারি বিএমসি মহিলা কলেজে পৃথক দু’টি আলোচনা সভা, পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ এবং জেলার ১০টি স্কুলে পৃথক পৃথক প্রতিযোগিতার আয়োজন। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানস্থলে প্রতিদিনি বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গ্রন্থ মেলা’র আয়োজন রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন