কারখানা বন্ধের ২ মাস পর জানাল মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি মূলধন সংকটের কারণে বছরের অক্টোবর থেকেই কারখানা বন্ধ রয়েছে বিবিধ খাতের কোম্পানি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। অথচ গুরুত্বপূর্ণ মূল্য সংবেদনশীল তথ্য কারখানা বন্ধ হওয়ার দুই মাস পর প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। গত সোমবার বিকালে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় কোম্পানিটির চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের পাশাপাশি কারখানা বন্ধের তথ্য প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যা গতকাল দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে কারখানা বন্ধ থাকাকালীনও কোম্পানিটির শেয়ারদরে অস্বাভাবিক উত্থান হয়েছে।

স্টক এক্সচেঞ্জে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, চলতি মূলধন সংকটের কারণে অক্টোবর থেকে কোম্পানিটির কারখানা বন্ধ রয়েছে। কোম্পানির পর্ষদ বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যেই কারখানা চালু করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে।

জানতে চাইলে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের কোম্পানি সচিব দেওয়ান মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের কাছ থেকে নেয়া ঋণ অনাদায়ী হয়ে যাওয়ার কারণেই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। ব্যাংকের সঙ্গে পাওনা নিয়ে সমস্যার কারণে বছরের জুনের পর থেকেই আমাদের বন্ডেড ওয়্যারহাউজের সুবিধা বন্ধ রয়েছে। ফলে স্থানীয় বাজার থেকে কাঁচামাল কিনে উৎপাদন চালু রাখতে হয়েছে। এতে আমাদের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে লোকসান গুনতে হয়েছে। সুদসহ ব্যাংকের কাছে আমাদের ৪২ কোটি টাকার দেনা ছিল। এরই মধ্যে ঋণের শতাংশ অর্থ পরিশোধ করে ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা করা হয়েছে। মাসের মধ্যেই আমরা এলসি খুলে কাঁচামাল আনার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারব।

কারখানা বন্ধ হওয়ার তথ্য দুই মাস পরে প্রকাশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো রকমে কারখানা চালু রাখা হয়েছে। কিন্তু মূলধনের অভাবে অক্টোবর থেকে আর কারখানা চালু রাখা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি ব্যাংকের সঙ্গে অনাদায়ী ঋণের বিষয়েও আলোচনা চলছিল। আমরা মনে করেছিলাম ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের সমস্যা দীর্ঘায়িত হবে না। ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা হয়ে গেলেই যেকোনো মুহূর্তে আবার কারখানা চালু হয়ে যেত। কারণে কারখানা বন্ধের তথ্যটি সে সময় আর জানানো সম্ভব হয়নি।

এদিকে কারখানা বন্ধ থাকাকালীনও মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর লেনদেনে অস্বাভাবিক প্রবণতা দেখা গেছে। বছরের অক্টোবর ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১৮ টাকা ৮০ পয়সা, যা ২৮ অক্টোবর কমে দাঁড়ায় ১৩ টাকা ৫০ পয়সায়। এর পর থেকেই আবার কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়তে থাকে এবং ২৬ নভেম্বর দাঁড়ায় ২২ টাকায়। কারখানা বন্ধের তথ্য প্রকাশ হওয়ার পরও গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়ে ২০ টাকা ৬০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির ১৯ লাখ ৮৩ হাজার ১১৬টি শেয়ার হাজার ২৮১ বার হাতবদল হয়েছে, যা এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য শতাংশ স্টক লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন