হুয়াওয়ে সিএফওর সময় কাটে বই পড়ে ও ছবি এঁকে

বণিক বার্তা ডেস্ক

এক বছর আগে কানাডায় গ্রেফতার হন হুয়াওয়ের প্রধান অর্থ বিষয়ক কর্মকর্তা (সিএফও) মেং ওয়ানঝু। জামিনে মুক্ত মেং এখন শরীরে ইলেকট্রনিক ট্র্যাকার লাগানো অবস্থায় ভ্যাঙ্কুভারে খুবই নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করছেন। গ্রেফতারের এক বছর পূর্তিতে তিনি তার কার্যত বন্দিজীবন এবং সেই সময়ের আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। হুয়াওয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই চিঠিতে তিনি সহকর্মী সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। খবর বিবিসি।

চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী (সিইও) রেন ঝেংফেইয়ের মেয়ে মেং ওয়ানঝু। গ্রেফতারের ঘটনাটি চীন-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছে দেয়। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে কানাডা সরকার। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে লড়ছেন। জানুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার শুনানির দিন ধার্য করা আছে।

খোলা চিঠিতে মেং অনেক আবেগময় কথা লিখেছেন। তার লেখার শুরুতেই এসেছে ভ্যাঙ্কুভারের প্রকৃতি। এছাড়া মুক্ত অবস্থায় সারা দিনের ব্যস্ততা, ভ্যাঙ্কুভারে এখনকার গতিহীন জীবন, দৈনন্দিন রুটিন, বই পড়া আর ছবি আঁকার কথা লিখেছেন মেং। তবে চিঠিতে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি।

ঘন পাহাড়ি বন ক্রমেই গাঢ় ক্রিমসন রঙ নিচ্ছে, জানান দিচ্ছে কানাডায় শীতের আগমনী বার্তা। চারদিকে তাকালে প্রকৃতির সৌন্দর্য ধরতে পারবে যে কেউ। এখানে এভাবে আটকে থাকতে চাইনি আমি কখনো, কিন্তু হঠাৎ দেখলাম এভাবেই কেটে গেল একটা বছর। গত বছরটি কেটেছে ভয়, যন্ত্রণা, অস্বস্তি, অসহায়ত্ব, নিদারুণ পীড়ন আর যুদ্ধের ভেতর দিয়ে। তবে এখন আমি আর অজানা ভবিষ্যেক ভয় পাই না। এভাবেই চিঠিটি শুরু করেছেন মেং ওয়ানঝু।

মুক্ত জীবনের স্মৃতিচারণ করে তিনি লিখেছেন, যখন শেনঝেনে ছিলাম, সময় দ্রুত চলে যেত। দৈনিকের রুটিন ছিল নানা কাজে ঠাসা। এমন কোনো সকাল বা দুপুর ছিল না, যখন মিটিংয়ে বসতে হয়নি। এমনকি মাঝরাতেও মিটিং করা যেন নিয়ম হয়ে গিয়েছিল।

আর এখন, সময় যেন কাটতেই চায় না! আমার হাতে এখন বই পড়ার প্রচুর সময়। একটার পর একটা বই পড়ি, সহকর্মীদের নিয়ে খুঁটিনাটি বিষয়ে মিটিং করি, তৈলচিত্রটি খুব যত্ন সাবধানতার সঙ্গে শেষ করার জন্যও অনেক সময় পাই আমি।

মেং ওয়ানঝুর গ্রেফতারের পর চীন, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক টানাপড়েন চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তার গ্রেফতারের কয়েক দিনের মাথায় চীনে দুই কানাডীয়কে গ্রেফতার করা হয়। যদিও চীন তখন বলেছিল এটি মেংকে গ্রেফতারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন